Dear Students,
আজকের বিষয় ব্রিটিশ শাসিত ভারতে বিভিন্ন সমাজিক আইন, নীতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি তুলে ধরা হয়েছে। যে কোন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই। নিম্নে অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি, স্বত্ববিলোপ নীতি, সতীদাহ প্রথা, ভারতের স্বাধীনতা আইনইলবার্ট বিল, মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন, সাইমন কমিশন, মর্লে মিন্টো সংস্কার, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড, মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন, রাওলাট আইন, ক্রিপস মিশন, সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি, মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা এবং ক্যাবিনেট মিশন আলোচনা করা হল।
Table Of Content (toc)
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক প্রস্তুতির জন্য আমাদের এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সম্পুর্ন বিনামূল্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি দেওয়া হয় এবং দৈনিক আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন। (alert-passed)
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি
- সময়কাল - ১৭৯৮ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ওয়েলেসলি এই সাম্রাজ্যবাদী নীতি প্রবর্তন করেন। ইংরেজরা এই নীতি গ্রহণ করা রজ্যগুলিকে বহিঃশত্রুর আক্রমণ ও অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ থেকে রক্ষা করবে। ওই রাজ্যে কেবল ইংরেজ সেনা রাখতে হবে। সেনার ব্যয়ভার রাজ্যের উপর থাকবে। হায়দ্রাবাদের নিজাম প্রথম ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সতীদাহ প্রথা
- সময়কাল - ১৮২৯ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রচলন করেছিলেন। এটি রাজা রামমোহন রায়ের প্রচেষ্টায় প্রথম সমাজ সংস্কার।
>> আরও পড়ুন : গৌতম বুদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্ম
স্বত্ববিলোপ নীতি
- সময়কাল - ১৮৪৮ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ডালহৌসি। এই নীতি অনুযায়ী কোনো শাসকের পুত্রসন্তান না থাকলে তারা দত্তক পুত্র নিতে পারবে না এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ভারতীয় কাউন্সিল আইন
- সময়কাল - ১৮৬১ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ক্যানিং-এর আমলে এই আইন প্রচলিত হয়। এই আইনের দ্বারা ভারতীয় আইন সভার শাসনকার্য আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। জরুরিকালীন সময়ে অর্ডিন্যান্স জারি করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ভাইসরয়কে। পোর্টফোলিও ব্যবস্থা চালু হয়। ভাইসরয়দের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের প্রত্যেক সদস্যকে একটি করে দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ইলবার্ট বিল
- সময়কাল - ১৮৮৩ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড রিপনের আমলে ইলবার্ট বিল চালু হয়। এই আইনের মাধ্যমে ভারতীয় এবং ইউরোপীয়ানদের জন্য সমান ও অভিন্ন বিচার ব্যবস্থা করা হয়।
ভারতীয় কাউন্সিল আইন
- সময়কাল - ১৮৯২ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ল্যান্সডাউনের আমলে এই আইন চালু হয়। এই আইনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় আইনসভার সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়। নন-অফিসিয়া সদস্যদের এবং প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যদের পরোক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরিষদের সদস্যদের প্রশ্ন জিজ্ঞাসার অনুমতি দেওয়া হয়।
মর্লে মিন্টো সংস্কার আইন
- সময়কাল - ১৯০৯ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - দ্বিতীয় লর্ড মিন্টোর আমলে এই আইন চালু হয়। এই আইনের মাধ্যমে হিন্দু ও মুসলিমদের পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা করা হয়। ভাইসরয় ও গভর্নরের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলে ভারতীয়রা অংশগ্রহণের সুযোগ পান। প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য সংখ্যা ৬ থেকে বাড়িয়ে ৬০ করা হয়। এর মধ্যে ২৮ জন সরকারের মনোনীত আধিকারিক ও ৩২ জন নন-অফিসিয়াল।
>> আরও পড়ুন : সৈয়দ বংশ এবং লোদি বংশ
মন্টেগু চেমসফোর্ড আইন
- সময়কাল - ১৯১৯ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড চেমসফোর্ডের আমলে এই আইন চালু হয়। কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়। উভয় স্তরের পরিষদ তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আইন তৈরি করতে পারবে। প্রাদেশিক বিষয়গুলিকে ট্রান্সফার ও রিজার্ভ দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে প্রাদেশিক বাজেটগুলিকে আলাদা করা হয়।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড
- সময়কাল - ১৯১৯ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড চেমসফোর্ডে আমলে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। পাঞ্জাবের অমৃতসরে জেনারেল ডায়ারের নির্দেশে গুলি চালালে জমায়েতে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয়।
রাওলাট আইন
- সময়কাল - ১৯১৯ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড চেমসফোর্ডের আমলে এই চালু হয়। এই আইনের দ্বারা বিনা বিচারে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আটক করা হয়। এই আইনের উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করা ও বিপ্লবী আন্দোলন স্তব্ধ করা।
সাইমন কমিশন
- সময়কাল - ১৯২৮ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - সাইমন কমিশনের আহ্বান করেন লর্ড আরউইন। এই কমিশনের মাধ্যমে ভারতে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার পর্যালোচনা করা হয়। এই কমিশনের উদ্দেশ্য ছিল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ভারত শাসন আইনের পর্যালোচনা ও নতুন নীতি নির্ধারণ।
গান্ধি-আরউইন চুক্তি
- সময়কাল - ১৯৩১ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড আরউইনের সঙ্গে গান্ধীজি এই চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে কংগ্রেস দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে আইন অমান্য আন্দোলন থেকে সরে এসেছিল।
>> আরও জানুন : জৈনধর্ম ও জৈন সন্মেলন
সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি
- সময়কাল - ১৯৩২ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ওয়েলিংডনের আমলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেন। এই নীতির মাধ্যমে অনুন্নত সম্প্রদায়ের জন্য তথা হিন্দু, মুসলিম এবং শিখ প্রভৃতি সম্প্রদায়ের পৃথক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করা হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করা।
ভারত সরকার আইন
- সময়কাল - ১৯৩৫ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ওয়েলিংটনের আমলে চালু হয়। এই আইনের মাধ্যমে সাংবিধানিক যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার প্রচলন করা হয়। ক্ষমতাকে ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। (১) ফেডারেল লিস্ট (কেন্দ্রীয়), (২) প্রাদেশিক তালিকা, (৩) যুগ্ম তালিকা। দ্বৈত শাসনের অবসান ঘটানো হয়। প্রাদেশিক স্বায়ত্ব শাসনের ব্যবস্থা করা হয়। তপশিলি উপজাতি, মহিলা ও শ্রমিকদের জন্য স্বতন্ত্র নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্রিপস মিশন
- সময়কাল - ১৯৪২ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - ক্রিপস মিশন-এর আহ্বান করেছিলেন লর্ড লিনলিথগো। এই মিশন আহ্বান করার উদ্দেশ্য ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র পক্ষকে শক্তিশালী করার জন্য ভারতবাসীর কাছ থেকে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য আদায় করা। ভারতীয়দের সংবিধান সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা।
ওয়াভেল পরিকল্পনা
- সময়কাল - ১৯৪৫ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ওয়াভেল এই পরিকল্পনা পেশ করেন। এই পরিকল্পনায় বলা হয় শীঘ্রই সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর ও সংবিধান রচনার কাজ শুরু করবে। নতুন সংবিধান গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত ভারতীয় নেতাদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গড়া হবে। কেন্দ্রীয় পরিষদে বর্ণহিন্দু ও মুসলমান সদস্যদের সংখ্যা সমান থাকবে।
ক্যাবিনেট মিশন
- সময়কাল - ১৯৪৬ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড ওয়াভেলের আমলে ক্যাবিনেট মিশন ভারতে এসেছিল। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হল ভারতের স্বাধীনতা বিষয়ে আলোচন করা।
>> প্রস্তুতি যাচাই করুন :
VVI অনলাইন মক টেস্ট
মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনা
- সময়কাল - ১৯৪৭ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনার শর্তগুলি ছিল সমগ্র ভারতে ‘ভারত' ও ‘পাকিস্তান' নামক দুটি পৃথক ডোমিনিয়নে বিভক্ত করা হবে। মুসলমান প্রধান অঞ্চলগুলি নিয়ে (সিন্ধুপ্রদেশ, বালুচিস্তান, উত্তর-পশ্চিম সীমান্তপ্রদেশ, পশ্চিম পাঞ্জাব ও পূর্ব বাংলা) পাকিস্তান গঠিত হবে। এজন্য স্বতন্ত্র সংবিধান সভা গঠন করা হবে। দেশীয় রাজ্যগুলি নিজ নিজ রাজ্যে সার্বভৌম ক্ষমতা লাভ করবে এবং ইচ্ছা করলে তারা যে কোনো ডোমিনয়নে যোগ দিতে পারবে।
আরও জানুন >> কোল বিদ্রোহ, সাঁওতাল বিদ্রোহ এবং মুন্ডা বিদ্রোহ
ভারতের স্বাধীনতা আইন
- সময়কাল - ১৯৪৭ সাল
- গুরুত্বপূর্ণ বিষয় - লর্ড মাউন্টব্যাটেনের আমলে এই আইন পেশ হয়। এই আইনের ধারা গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি পৃথক ডোমিনিয়ন গঠিত হবে। দেশীয় রাজ্যগুলি স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে যে কোনো একটি ডোমিনিয়নে যোগদান করতে পারবে।
- >> আরও জানুন : ভারতের গুরুত্বপূর্ণ হ্রদ
দৈনিক ফ্রী অনলাইন মক টেস্ট দেওয়ার জন্য হিটলিস্ট ক্যাটাগরি চেক করুন এবং নিজের প্রস্তুতি যাচাই করুন। (alert-success)