বিভিন্ন পর্বের গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণী : আর্থ্রোপোডা | মোলাস্কা | প্রোটোজোয়া | নিডারিয়া | প্ল্যাটিহেলমেনথিস | অ্যানিলিডা

 

Protozoa Nidaria Platyhelminthes Annelida

Dear Students 

এখানে বিভিন্ন পর্বের গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীদের সম্পর্কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরা হয়েছে। যে কোন প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই। নিম্নে বিভিন্ন পর্বের গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণী সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

Table Of Content (toc)

১। আর্থ্রোপোডা

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

  • দেহ দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম, খণ্ডকযুক্ত এবং ত্রিস্তর বিশিষ্ট।
  • এদের দেহ কাইটিন নির্মিত বহিঃকঙ্কাল দ্বারা আবৃত।
  • প্রতিটি দেহখণ্ডকে একজোড়া করে সন্ধিল উপাঙ্গ উপস্থিত থাকে 
  • রক্ত সংবহনতন্ত্র মুক্ত প্রকৃতির।
  • এরা সবুজগ্রন্থি ও ম্যালপিজিয়ান নালিকার সাহায্যে রেচনকার্য চালায়।

আর্থ্রোপোডা গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • চিংড়ি, আরশোলা, রেশম মথ, কাঁকড়াবিছে, তেঁতুলবিছে মাছি, মশা, মৌমাছি ইত্যাদি।


২। মোলাস্কা বা কম্বোজ

  • এদের দেহ নরম, অখণ্ডিত দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম বা অপ্রতিসম।
  • রক্ত সংবহনতন্ত্র বদ্ধ ও আংশিক মুক্ত প্রকৃতির, রক্তে তাম্রঘটিত রঞ্জক হিমোসায়ানিন উপস্থিত।
  • এদের দেহ ম্যান্টল পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে।
  • এদের বেশিরভাগ প্রাণীই একলিঙ্গ হয়ে থাকে।

মোলাস্কা বা কম্বোজ গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • অক্টোপাস, শামুক, ঝিনুক, ক্যাটল ফিশ, সিপিয়া ইত্যাদি। 


>> আরও জানুন : কে কোন বিষয়ের জনক


৩। নিডারিয়া

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য 

  • এরা বহুকোশী
  • প্রাণী কিন্তু দেহে কোনো যন্ত্র এবং তন্ত্র গঠিত হয়নি।
  • জীবন চক্রে জনুক্রম লক্ষ করা যায়।
  • এদের আন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশীয় উভয় প্রকার পরিপাক পদ্ধতি লক্ষ্য
  • করা যায়।
  • দেহত্বকে নিডোব্লাস্ট নামক দংশককোশ উপস্থিত।
  • দেহাভ্যন্তরে সিলেনটেরন নামক কেন্দ্রীয় গহ্বর থাকে।

নিডারিয়া গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • হাইড্রা, ফাইলেসিয়া, ওবেলিয়া, গর্গোনিয়া, লালপ্রবাল, সাগরকুসুম, জেলিফিস, সমুদ্রপালক ইত্যাদি। 


>> অবশ্যই পড়ুন : বিভিন্ন ধরনের অধ্যয়ন ও তাদের নাম


৪। টিনোফোরা

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

  • এরা উভয়লিঙ্গ প্রাণী।
  • জীবনচক্রে জনুক্রম লক্ষ করা যায় না।
  • দেহ দ্বি-অরীয়ভাবে প্রতিসম।
  • এদের দেহ ডিম্বাকার বা চ্যাপটা আকৃতি বিশিষ্ট হয়।
  • এদের দেহে আংশিক আন্তঃকোশীয় ও আংশিক বহিঃকোশীয় পরিপাক লক্ষ করা যায়।

টিনোফোরা গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • হর্মিফোরা, বেরো, টোনোপ্লানা প্রজাতি, ভেলামেন প্রজাতি, টিনোপ্লানা প্রজাতি ইত্যাদি। 


৫। কর্ডাটা

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

  • ভ্রূণ অবস্থায় বা সারাজীবন ধরে নোটোকর্ড উপস্থিত থাকে।
  • রক্তসংবহন তন্ত্র বদ্ধ প্রকৃতির হয়।
  • এঁরা একলিঙ্গ প্রাণী। এরা সাধারণত যৌনজনন প্রক্রিয়ায় বংশবিস্তার করে।
  • পৃষ্ঠদেশে একটি ফাপা, নলাকার স্নায়ুসূত্র বা নার্ভকর্ড থাকে। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে অগ্রভাগের নার্ভকর্ডটি পরিবর্তিত হয়ে মস্তিষ্ক এবং বাকি অংশটি সুষুম্নাকাণ্ড গঠন করে।

কর্ডাটা গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • মানুষ, হাঙর, রুইমাছ, কুনোব্যাঙ, পায়রা, গিনিপিগ, গিরগিটি ইত্যাদি। 


>> প্রস্তুতি যাচাই করুন : অনলাইক জিকে মক টেস্ট 


৬। প্ল্যাটিহেলমেনথিস

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

  • দেহ পাতা বা ফিতের মতো চ্যাপটা। লম্বায় সাধারণত ৫০ মিলিমিটার ২০ মিটার পর্যন্ত হয়
  • এদের দেহ দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম।
  • এদের রেচন অঙ্গ ফ্লেমকোশ বা প্রোটোনেফ্রিডিয়া বা সোলেনোসাইট উভয়লিঙ্গ প্রাণী।
  • এদের জননতন্ত্র জটিল ও উন্নত। 
  • এদের দেহে স্বনিষেক বা পরনিষেক লক্ষ্য করা যায়।

প্ল্যাটিহেলমেনথিস গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর উদাহরণ

  • কুকুরের ফিতা কৃমি, গরুর ফিতা কৃমি, প্লানেরিয়া, পলিস্টোমা যকৃত কৃমি ইত্যাদি।


৭। নিমাটোডা

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

  • দেহ অখণ্ডিত ও নলাকৃতি। দুপ্রান্ত অপেক্ষাকৃত সরু ও মধ্যভাগ চওড়া।
  • রেচনঅঙ্গ একজোড়া পার্শ্বীয় রেচন নালি দ্বারা গঠিত।
  • এদের দেহে ছদ্ম-সিলোম উপস্থিত।

নিমাটোডা গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • গোলকৃমি, কুকুরের গোলকৃমি, হুককৃমি, চোখের কৃমি, বিড়ালের গোলকৃমি, গোদকৃমি ইত্যাদি। 


৮। অ্যানিলিডা

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য

  • এদের দেহ লম্বা নলাকার এবং দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম।
  • এদের দেহ অসংখ্য আংটির মতো খণ্ডক দিয়ে গঠিত।
  • দেহের প্রতিটি খণ্ডকে নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ উপস্থিত।
  • এরা একলিঙ্গ বা উভয়লিঙ্গ প্রকৃতির হয়।

অ্যানিলিডা গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • জোঁক, কেঁচো, ফ্যান ওয়ার্ম, লাং ওয়ার্ম, হিরুডো, নেরিস,সমুদ্রমুসিক ইত্যাদি।


৯। প্রোটোজোয়া

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য 

  • এরা এককোশী ও আণুবীক্ষণিক জীব।

  • দেহ নগ্ন অথবা পেলিকল দ্বারা আবৃত থাকে।
  • এদের গমন অঙ্গ হল ক্ষণপদ বা সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলা।
  • এরা দেহত্বকের মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়।
  • এদের আন্তকোশীয় পরিপাক পদ্ধতি লক্ষ করা যায়।

প্রোটোজোয়া গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর উদাহরণ 

  • অ্যামিবা, ইউগ্লিনা, প্যারামিসিয়াম, প্লাসমোডিয়াম, মনোসিস্টিস, জিয়ার্ডিয়া ইত্যাদি।


১০। পরিফেরা

গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য 

  • দেহপ্রাচীর অস্ট্রিয়া নামক অসংখ্য ছিদ্র থাকে, যার মাধ্যমে দেহের মধ্যে জল প্রবেশ করে।
  • দেহে পরিপাক তন্ত্র, মুখছিদ্র ও পায়ুছিদ্র থাকে না।
  • দেহে স্নায়ুকলা, শ্বাসঅঙ্গ ও রেচনঅঙ্গ থাকে না।
  • দেহের কোশগুলি বহিঃস্তর ও অন্তঃস্তরে সজ্জিত থাকে।
  • দেহে ফ্লাজেলাযুক্ত কোয়ানোসাইট কোশ দ্বারা পরিবেষ্টিত এক বা একাধিক গহ্বর থাকে।

পরিফেরা গোষ্ঠীভূক্ত প্রাণীর নাম

  • সাইকন, স্কাইফা, মিষ্টিজলের স্পঞ্জ, বাতস্পঞ্জ, বোরিংস্পঞ্জ, লিউকোসোলেনিয়া ইত্যাদি। 

>> পড়তে থাকুন : ভারতের রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য

বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক প্রস্তুতির জন্য আমাদের এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সম্পুর্ন বিনামূল্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি দেওয়া হয়  এবং দৈনিক আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন। (alert-passed)

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad