◾শ্রীগুপ্ত (আনুমানিক ২৭৫-৩০০ খ্রীস্টাব্দ)
➤আনুমানিক ২৭৫ খ্রীস্টাব্দে শ্রীগুপ্ত গুপ্তবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।
➤তার উপাধি ছিল মহারাজ।
➤ রাজধানী - পাটালিপুত্র
◾ঘটোৎকচগুপ্ত (আনুমানিক ৩০০-৩১৯ খ্রীস্টাব্দ)
➤শ্রীগুপ্তের পর তিনি গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাট হন।
➤তাঁর পুত্রের নাম ছিল প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।
◾প্রথম চন্দ্রগুপ্ত (আনুমানিক ৩১৯-৩৩৪ খ্রিস্টাব্দ)
➤তিনি ‘মহারাজাধিরাজ' উপাধি ধারণ করেন।
➤৩২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘গুপ্তাব্দ' প্রচলন করেন।
➤তাঁর আমল থেকেই প্রকৃতপক্ষে গুপ্ত বংশের গৌরবের সূচনা হয়।
➤ তিনি গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।
◾সমুদ্র গুপ্ত (আনুমানিক ৩৩৫-৩৮০ খ্রিস্টাব্দ)
➤ তিনি ভারতের নেপোলিয়ান' নামে পরিচিত।
➤প্রাচীন ভারতে ‘অধিনতামূলক মিত্রতা নীতি বা সাম্রাজ্যবাদ নীতি' তিনিই চালু করেন।
➤তাঁর সাম্রাজ্য পূর্বে ব্রহ্মপুত্র, দক্ষিণে নর্মদা, উত্তরে হিমালয় ও কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
➤সংস্কৃত পণ্ডিত হরিষেণ ও বৌদ্ধ পণ্ডিত বসুবন্ধু তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা অর্জন করেন।
➤মুদ্রায় অঙ্কিত বীনাবাদনরত তাঁর মূর্তি থেকে তাঁর সংগীতানুরাগের কথা জানা যায়।
➤তার উপাধি গুলির মধ্যে অন্যতম হল- অশ্বমেধ পরাক্রম, সর্বরাজোচ্ছেতা, অপ্রতিরথ, কবিরাজ।
➤তিনি রাজ্য বিস্তারে গ্রহণ ও পরিমোক্ষ নীতি অনুসরন করতেন।
➤সমুদ্র গুপ্তের সভাকবি হরিসেন রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তি বা প্রয়াগ প্রশস্তি থেকে তাঁর রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায়।
➤এরান প্রস্তরলেখ থেকে সমুদ্র গুপ্তের ক্ষমতা ও সাফল্য সম্পর্কে জানা যায়।
➤সমুদ্র গুপ্ত দাক্ষিনাত্যের ১২টি রাজ্য জয় করেছিলেন।
➤ তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন।
◾দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (আনুমানিক ৩৮০-৪১৪ খ্রিস্টাব্দ)
➤তিনি শক শক্তির উচ্ছেদ সাধন করে ‘বিক্রমাদিত্য' বা 'শকারি' উপাধি ধারণ করেন।
➤তিনি ধর্মবিশ্বাসে বৈষ্ণব হওয়া সত্ত্বেও পরধর্মসহিষ্ণু ছিলেন।
➤চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন তাঁর আমলে আসেন।
➤তিনি বিদ্বান ও বিদ্বানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর রাজসভায় 'নবরত্ন' বা ন'জন পণ্ডিত ছিলেন।
➤নবরত্ন নামে পরিচিত কালিদাস, ধন্নন্তরি, ক্ষপনক, শঙ্ক, বেতালভট্ট, ঘটকর্পর, আমর সিংহ, বরাহমিহির ও বররুচি।
➤ তিনি উজ্জয়িনীতে দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন।
➤ উদয়গিরি গুহালিপি থেকে তার সমন্ধে জানা যায়।
➤ কবি বীরসেন তার মন্ত্রী ছিলেন।
◾কুমারগুপ্ত প্রথম (আনুমানিক ৪১৫-৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ)
➤ তার উপাধি ছিল মহেন্দ্রাদিত্য।
➤পুষ্যমিত্র নামে এক দুধর্ষ উপজাতির হাত থেকে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন।
➤তিনি ছিলেন দেবতা কার্তিকের পূজারি।
➤'নালন্দা মহাবিহার বা বিশ্ববিদ্যালয়' তাঁর আমলে তৈরি হয়।
◾স্কন্দগুপ্ত (আনুমানিক ৪৫৫-৪৬৭ খ্রিস্টাব্দ)
➤ তার উপাধি ছিল বিক্রমাদিত্য।
➤তিনি হুনদের আক্রমণ প্রতিহত করেন।
➤তিনি ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী।
➤তাঁকে 'ভারত রক্ষাকারী' বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
➤"ভিতরী শিলালিপি" থেকে তাঁর সম্পর্কে জানা যায়।
➤রমেশচন্দ্র দত্ত তাকে 'ভারতের রক্ষাকারী' আখ্যা দিয়েছেন।
➤স্কন্দগুপ্তের পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের অবক্ষয় শুরু হয় এবং ৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত এই বংশের শাসন স্থায়ী ছিল।গ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ রাজা ছিলেন জীবিত গুপ্ত।
Also Read>>