Ads Area

Gupta Empire details in Bengali | প্রথম চন্দ্রগুপ্ত | সমুদ্র গুপ্ত | দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত | কুমারগুপ্ত প্রথম | স্কন্দগুপ্ত

Gupta empire details in Bengali

গুপ্ত সাম্রাজ্য (Gupta Empire) ছিল প্রাচীন ভারতের একটি গৌরবময় যুগ, যা স্বর্ণযুগ নামেও পরিচিত। এই সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীগুপ্ত, প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। তাঁর উত্তরসূরি সমুদ্র গুপ্ত ছিলেন একাধারে প্রতিভাবান রাজা, কবি ও সফল সেনাপতি। সমুদ্র গুপ্তের শাসনকালে গুপ্ত সাম্রাজ্য সর্বোচ্চ সীমানায় পৌঁছায় এবং শিল্প, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় সহনশীলতা প্রসার লাভ করে। পরে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (বিক্রমাদিত্য) শক দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
কুমারগুপ্ত প্রথম স্থাপন করেন বিখ্যাত নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কন্দগুপ্ত শক ও হুন আক্রমণের বিরুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেন। এখানে গুপ্ত যুগের ইতিহাস, রাজাদের অবদান, রাজনৈতিক কৌশল ও সাংস্কৃতিক বিকাশ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

শ্রীগুপ্ত (আনুমানিক ২৭৫-৩০০ খ্রীস্টাব্দ)

➤আনুমানিক ২৭৫ খ্রীস্টাব্দে শ্রীগুপ্ত গুপ্তবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।

➤তার উপাধি ছিল মহারাজ। 

➤ রাজধানী - পাটালিপুত্র


ঘটোৎকচগুপ্ত (আনুমানিক ৩০০-৩১৯ খ্রীস্টাব্দ)

➤শ্রীগুপ্তের পর তিনি গুপ্ত সাম্রাজ্যের সম্রাট হন।

➤তাঁর পুত্রের নাম ছিল প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। 


প্রথম চন্দ্রগুপ্ত (আনুমানিক ৩১৯-৩৩৪ খ্রিস্টাব্দ)

➤তিনি ‘মহারাজাধিরাজ' উপাধি ধারণ করেন।

➤৩২০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ‘গুপ্তাব্দ' প্রচলন করেন।

➤তাঁর আমল থেকেই প্রকৃতপক্ষে গুপ্ত বংশের গৌরবের সূচনা হয়। 

➤ তিনি গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা।


সমুদ্র গুপ্ত (আনুমানিক ৩৩৫-৩৮০ খ্রিস্টাব্দ)

➤ তিনি ভারতের নেপোলিয়ান' নামে পরিচিত।

➤প্রাচীন ভারতে ‘অধিনতামূলক মিত্রতা নীতি বা সাম্রাজ্যবাদ নীতি' তিনিই চালু করেন।

➤তাঁর সাম্রাজ্য পূর্বে ব্রহ্মপুত্র, দক্ষিণে নর্মদা, উত্তরে হিমালয় ও কাশ্মীর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। 

➤সংস্কৃত পণ্ডিত হরিষেণ ও বৌদ্ধ পণ্ডিত বসুবন্ধু তাঁর পৃষ্ঠপোষকতা অর্জন করেন। 

➤মুদ্রায় অঙ্কিত বীনাবাদনরত তাঁর মূর্তি থেকে তাঁর সংগীতানুরাগের কথা জানা যায়।

➤তার উপাধি গুলির মধ্যে অন্যতম হল- অশ্বমেধ পরাক্রম, সর্বরাজোচ্ছেতা, অপ্রতিরথ, কবিরাজ। 

➤তিনি রাজ্য বিস্তারে গ্রহণ ও পরিমোক্ষ নীতি অনুসরন করতেন।

➤সমুদ্র গুপ্তের সভাকবি হরিসেন রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তি বা প্রয়াগ প্রশস্তি থেকে তাঁর রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায়।

➤এরান প্রস্তরলেখ থেকে সমুদ্র গুপ্তের ক্ষমতা ও সাফল্য সম্পর্কে জানা যায়। 

➤সমুদ্র গুপ্ত দাক্ষিনাত্যের ১২টি রাজ্য জয় করেছিলেন।

➤ তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন।



দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (আনুমানিক ৩৮০-৪১৪ খ্রিস্টাব্দ)

➤তিনি শক শক্তির উচ্ছেদ সাধন করে ‘বিক্রমাদিত্য' বা 'শকারি' উপাধি ধারণ করেন। 

➤তিনি ধর্মবিশ্বাসে বৈষ্ণব হওয়া সত্ত্বেও পরধর্মসহিষ্ণু ছিলেন।

➤চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন তাঁর আমলে আসেন।

➤তিনি বিদ্বান ও বিদ্বানের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাঁর রাজসভায় 'নবরত্ন' বা ন'জন পণ্ডিত ছিলেন।

➤নবরত্ন নামে পরিচিত কালিদাস, ধন্নন্তরি, ক্ষপনক, শঙ্ক, বেতালভট্ট, ঘটকর্পর, আমর সিংহ, বরাহমিহির ও বররুচি।

➤ তিনি উজ্জয়িনীতে দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন। 

➤ উদয়গিরি গুহালিপি থেকে তার সমন্ধে জানা যায়।

➤ কবি বীরসেন তার মন্ত্রী ছিলেন।


কুমারগুপ্ত প্রথম (আনুমানিক ৪১৫-৪৫৫ খ্রিস্টাব্দ)

➤ তার উপাধি ছিল মহেন্দ্রাদিত্য।

➤পুষ্যমিত্র নামে এক দুধর্ষ উপজাতির হাত থেকে সাম্রাজ্যকে রক্ষা করেন।

➤তিনি ছিলেন দেবতা কার্তিকের পূজারি।

➤'নালন্দা মহাবিহার বা বিশ্ববিদ্যালয়' তাঁর আমলে তৈরি হয়।


স্কন্দগুপ্ত (আনুমানিক ৪৫৫-৪৬৭ খ্রিস্টাব্দ)

➤ তার উপাধি ছিল বিক্রমাদিত্য।

➤তিনি হুনদের আক্রমণ প্রতিহত করেন।

➤তিনি ছিলেন বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী।

➤তাঁকে 'ভারত রক্ষাকারী' বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

➤"ভিতরী শিলালিপি" থেকে তাঁর সম্পর্কে জানা যায়।

➤রমেশচন্দ্র দত্ত তাকে 'ভারতের রক্ষাকারী' আখ্যা দিয়েছেন।

➤স্কন্দগুপ্তের পর গুপ্ত সাম্রাজ্যের অবক্ষয় শুরু হয় এবং ৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত এই বংশের শাসন স্থায়ী ছিল।গ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ রাজা ছিলেন জীবিত গুপ্ত। 

Also Read>>

Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad