Table of Content (toc)
◾সিমুক (খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে)
➤তিনি কান্ত ও শুঙ্গ বংশকে ধ্বংস করে নিজ আধিপত্য স্থাপন করেন।
➤তিনি ছিলেন সাতবাহন বংশের প্রথম শাসক।
➤তিনি গোদাবরী নদীর তীরে প্রতিষ্ঠান বা পৈঠান নামে রাজধানী স্থাপন করেন।
➤তিনি বিদিশা জয় করেন।
◾কানহ বা কৃষ্ণ (আনুমানিক ২১২-১৯৪ খ্রিস্টপূর্ব)
➤সিমুকের পর তাঁর কনিষ্ঠ ভাই কানহ সিংহাসনে বসেন।
➤পুরান সুত্রে জান যায়, তিনি নিষ্ঠুরতার সাথে শাসনকার্য পরিচালনা করতেন।
➤তার আমলে সাতবাহন রাজ্যের সীমানা পশ্চিমে অন্তত নাসিক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
◾প্রথম সাতকর্ণী (আনুমানিক ১৯৪-১৮৫ খ্রিস্টপূর্ব)
➤নায়নিকা রচিত নানাঘাট শিলালিপি থেকে তার রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায়।
➤তিনি খারবেল কর্তৃক পরাজিত হন।
➤পশ্চিম মালব জয়ের পর তিনি অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন।
➤তিনি “দক্ষিণাপথপতি” উপাধি ধারণ করেন।
➤প্রথম সাতকর্ণীর মৃত্যুর পরবর্তি ১০০ বছরের ইতিহাস সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না।
◾গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী (আনুমানিক ১০৬ - ১৩০ খ্রিস্টাব্দ)
➤সাতবাহন বংশের শ্রেষ্ঠ নৃপতি ছিলেন গৌতমীপুত্র সাতকর্ণী।
➤গৌতমী বলশ্রী দ্বারা রচিত নাসিক প্রশস্তি থেকে তার রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায়।
➤তিনি মহারাষ্ট্র, গুজরাট, সৌরাষ্ট্র, মালব, বেরার, উত্তর কোঙ্কন দখল করেন।
➤শকরাজা নহপানকে পরাজিত করেন।
➤ব্রাহ্মণ্যধর্মের পৃষ্ঠপােষক হলেও বৌদ্ধদের প্রতি তিনি উদার ছিলেন।
◾বশিষ্ঠিপুত্র পুলমায়ী (আনুমানিক ১৩০-১৫৪ খ্রিস্টাব্দ)
➤তিনি দুই মাস্তুলভুক্ত জাহাজের ছাপওয়ালা মুদ্রার প্রচলন করেন।
➤তার সময়ে অমরাবতী বৌদ্ধ স্তুপটির আয়তন বৃদ্ধি করা হয়।
◾যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণী (আনুমানিক ১৬৫-১৯৪ খ্রীস্টাব্দ)
➤সাতবাহন বংশের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য শাসক ছিলেন যজ্ঞশ্রী সাতকর্ণী।
➤তিনি শকদের হাত থেকে পশ্চিম ভারত ও নর্মদা উপত্যকা পুনরুদ্ধার করেন।
➤তার রাজ্য বঙ্গোপসাগর থেকে আরবসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
➤তিনি দার্শনিক নাগার্জুনকে পৃষ্ঠপােষকতা করেন।
➤তিনি ছিলেন সাতবাহন বংশের শেষ উল্লেখযােগ্য রাজা।
Also Read>>
হর্ষঙ্ক বংশ ও শিশুনাগ বংশ (link)