মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের উচ্চারিত ধ্বনির দ্বারা পরিচালিত, কোনো
বিশিষ্ট জনসমাজে প্রচলিত প্রয়োজন মতো বাক্যে প্রযুক্ত হওয়ার উপযোগী শব্দ
সমষ্টিকে ভাষা বলে। অর্থাৎ মনের কোনো চিন্তার সম্পদকে অন্য একজন মানুষের মনে
পৌঁছে দিয়ে তার অন্তরে অনূকল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করাই ভাষার প্রথম ও প্রধান
কাজ।
উপভাষা :-
একই ভাষা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত অঞ্চলভেদে দৈনন্দিন ব্যবহারের কাজে ও কথা
বার্তায় ধ্বনিগত, রূপগত ও বাঘধারাগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে ভাষা প্রচলিত তাকে
উপভাষা বলে।
সব উপভাষারই আছে দুটি রুপ ।
1. কথ্য রুপ
2. লেখ্য রুপ
বাংলা কথ্য উপভাষা পাঁচটি। সেগুলি হল ----
1. রাঢ়ি উপভাষা
2. বঙ্গালী উপভাষা
3. বরেন্দ্রী উপভাষা
4. ঝাড়খন্ডী উপভাষা
5. কামরূপী উপভাষা
২। বঙ্গালী উপভাষা :- ঢাকা, ফরিদপুর, মৈমনসিংহ, বরিশাল, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে প্রচলিত।
৩। বরেন্দ্রী উপভাষা :- উত্তর বঙ্গে প্রচলিত যেমন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ , রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ইত্যাদি অঞ্চলে প্রচলিত।
ভাষা ও উপভাষার সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- ভাষা একটি বৃহৎ অঞ্চলে প্রচলিত,
উপভাষা অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র অঞ্চলে প্রচলিত।
- ভাষার একটি সার্বজনীন আদর্শ রুপ থাকে,
উপভাষা সেই আঞ্চলিক ভাষার রুপ।
- কালজয়ী সাহিত্য কীর্তি রচিত হয়,
লোকগীতি ও লোকসংগীত রচিত হয়।
- ভাষার নির্দিষ্ট ব্যকরণ থাকে,
উপভাষার নির্দিষ্ট কোনো ব্যকরণ থাকে না।
- ধ্বনিগত, রূপগত ও বাগধারা ব্যবহারে ভাষার সহিত উপভাষার বিশেষ ধরনের পার্থক্য দেখা যায়।
1. কথ্য রুপ
2. লেখ্য রুপ
বাংলা কথ্য উপভাষা পাঁচটি। সেগুলি হল ----
1. রাঢ়ি উপভাষা
2. বঙ্গালী উপভাষা
3. বরেন্দ্রী উপভাষা
4. ঝাড়খন্ডী উপভাষা
5. কামরূপী উপভাষা
বাংলা কথ্য উপভাষাগুলীর প্রচলনের ভৌগলিক সীমানা
১। রাঢ়ী উপভাষা :- পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরবনা, বাঁকুড়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ জেলার অধিবাসীরা।২। বঙ্গালী উপভাষা :- ঢাকা, ফরিদপুর, মৈমনসিংহ, বরিশাল, খুলনা ও যশোর অঞ্চলে প্রচলিত।
৩। বরেন্দ্রী উপভাষা :- উত্তর বঙ্গে প্রচলিত যেমন পশ্চিমবঙ্গের মালদহ , রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ইত্যাদি অঞ্চলে প্রচলিত।
৪। কামরূপী উপভাষা:- উত্তর-পূর্ব বঙ্গের উপভাষা। অসমের নিকটবর্তী অঞ্চল
জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দক্ষিণ দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, রংপুর, শ্রীহট্ট,
ত্রিপুরা, পশ্চিম গোয়ালাপাড়া ইত্যাদি স্থানে কামরূপী উপভাষা প্রচলিত।
৫। ঝাড়খন্ডী উপভাষা :- মোটামুটি ভাবে সাঁওতাল সর্বনাশ, যেমন—পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম বীরভূম, দক্ষিণ পশ্চিম বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ- পশ্চিম মেদিনীপুর, ধলভূম, মানভূম, সিংভূম ইত্যাদি।
৫। ঝাড়খন্ডী উপভাষা :- মোটামুটি ভাবে সাঁওতাল সর্বনাশ, যেমন—পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম বীরভূম, দক্ষিণ পশ্চিম বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দক্ষিণ- পশ্চিম মেদিনীপুর, ধলভূম, মানভূম, সিংভূম ইত্যাদি।
Also Read>>