স্বরসংগতি, অপিনিহিতি, অভিশ্রুতি, ব্যঞ্জনসংগতি, নাসিক্যিভবন ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা।

Table of Content (toc)

 ধ্বনির রুপান্তর 

ধ্বনি পরিবর্তনের অন্যতম কারণ ধ্বনির রুপান্তর। ধ্বনির রুপান্তরের ধারাগুলি হল---

স্বরসংগতি, অপিনিহিতি, অভিশ্রুতি, ব্যঞ্জনসংগতি, নাসিক্যিভবন ইত্যাদি। 

স্বরসংগতি

সংগতি শব্দের অর্থ সৌম্যভাব। স্বরসংগতি হল অসম স্বরধবনির সাম্য ও সংগতি লাভ। কোনো কোনো শব্দে পূর্বস্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বরধবনির পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বরধবনির যে ললক্ষনীয়ভাবে পরিবর্তন হয় বাংলায় উচ্চারণগত এই রীতিকে স্বরসংগতি বলে।

স্বরসংগতি চার প্রকারের—

প্রগত স্বরসংগতি:-

পূর্ববর্তী স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বরধ্বনি পরিবর্তিত হলে তাকে বলে প্রগত স্বরসংগতি।

উদাহরণঃ-ইচ্ছা > ইচ্ছে, মিথ্যা >মিথ্যে, মিছা >মিছে,ভিক্ষা >ভিক্ষে, ফিতা >ফিতে, হিসাব >হিসেব, বিলাত >বিলেত, দিলাম >দিলেম, তিনটা >তিনটে ইত্যাদি। 

পরাগত স্বরসংগতি :-

পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পূর্ববর্তী স্বর পরিবর্তিত হলে পরাগত স্বরসঙ্গতি বলে। 

উদাহরণঃ- লিখা > লেখা, দেশী>দিশি, শুনা > শোনা, লিখা>লেখা ইত্যাদি। 


মধ্যগত স্বরসংগতি :-

শব্দের মধ্যে অবস্থিত স্বর পূর্ববর্তী ও পরবর্তী স্বরের প্রভাবে পরিবর্তিত হলে  পরিবর্তিত হলে তাকে মধ্যগত স্বরসংগতি বলে।

উদাহরণঃ- ভিখারি >ভিখিরি, বিলাতী > বিলিতি, শুনানি >শুনুনি ইত্যাদি। 


অন্যোন্য স্বরসংগতি :-

পূর্ববর্তী বা পরবর্তী উভয় স্বরধ্বনি পরস্পরের প্রভাবে পরিবর্তিত হলে তাকে অন্যোন্য স্বরসঙ্গতি বলা হয়। 

উদাহরণঃ- যোগ্য >যুগ্যি, পোষ্য >পুষ্যি 


*আপনার কিছুটা হলেও যদি উপকার হয় তাহলে পোস্টটিকে লাইক ও বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ। 

Also Read→

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad