কুকা আন্দোলন | পাবনা বিদ্রোহ | মোপলা বিদ্রোহ | বরদোলি সত্যাগ্রহ

কুকা আন্দোলন, পাবনা বিদ্রোহ

 আজকের অলোচ্য বিষয় কুকা আন্দোলন, পাবনা বিদ্রোহ, বরদোলি সত্যাগ্রহ এবং মোপলা বিদ্রোহের উল্লেখযোগ্য দিক সম্পর্কে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে সেই সব দিক গুলি তুলে ধরা হয়েছে যেগুলি Competitive Exams এবং অন্যান্য পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে কুকা আন্দোলন, পাবনা বিদ্রোহ, মোপলা বিদ্রোহ এবং বরদোলি সত্যাগ্রহ সম্পর্কে  আলোচনা করা হল।

বিভিন্ন Competitive Exams -এর প্রস্তুতির জন্য আমাদের এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সম্পুর্ন বিনামূল্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি দেওয়া হয়  এবং দৈনিক আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন। (alert-success)

Table Of Content (toc)

কুকা আন্দোলন 

⇨ ঊনবিংশ শতকে কুকা আন্দোলনের সূত্রপাত করেন ভগত জহরমল। শিয়ান সাহিব নামে তিনি পরিচিত ছিলেন। জহরমলের শিষ্য বালাক সিং এরপর কুকা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। রাম সিং কুকা আন্দোলনকে পাঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সুবা এবং নায়েব সুবা নিয়োগ করেন। একদল কুকা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে জড়িয়ে পড়েন। তারা মালুধ এবং কোটলাতে দশজনকে হত্যা করেন। 68 জন কুকাকে ব্রিটিশরা হত্যা করেন। রাম সিংকে 1872 খ্রিস্টাব্দে রেঙ্গুনে নির্বাসন দেওয়া হয় ও 1885 খ্রিস্টাব্দে তিনি মারা যান।


পাবনা বিদ্রোহ (1872-1876)

⇨ পূর্ববঙ্গের জমিদারদের বিরুদ্ধে পাবনা কৃষক বিদ্রোহ শুরু হয়। সরকার শেষপর্যন্ত অস্ত্রের দ্বারা এই বিদ্রোহ দমন করেন এবং একটি কমিশন বসানো হয় কৃষকদের দূরবস্থা জানার জন্য। এই বিদ্রোহের প্রধান নেতারা ছিলেন ঈশানচন্দ্র রায়, শম্ভু পাল, কে মোল্লা। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন জমিদার দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর। 1874 খ্রিস্টাব্দে রমেশচন্দ্র দত্ত লেখেন বাংলার কৃষক বিদ্রোহ।


মোপলা বিদ্রোহ (1921)

⇨ কেরলের মালাবার অঞ্চলে মুসলমান মোপলা কৃষকরা হিন্দু জমিদার ও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মোপলা বিদ্রোহ করে। 1921 খ্রিস্টাব্দে পুলিশেরা তিরুরঙ্গদি মসজিদে  অস্ত্র খোঁজার নামে তল্লাশি চালালে পুলিশ, থানা, জমিদার ও মহাজনদের বাড়ি আক্রমণ করে। এরনাথ ও অলুভানাথ অঞ্চল ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। মোপলারা বিভিন্ন স্থানে রিপাবলিক গঠন করে। মোপলা বিদ্রোহের নেতারা ছিলেন কানহামমত গাজী, কলথিনগল মহম্মদ, আলি মুশালিয়ার, সিথি কয়ামঙ্গল ইত্যাদি। ব্রিটিশরা 2337 বিদ্রোহীকে হত্যা করে, 1650 জনকে আহত করে এবং 45000 বেশি লোককে বন্দী করে। 1921 খ্রিস্টাব্দে ৬৬ জনকে পুদনুরের রেলের ওয়াগনের মধ্যে বন্দী রাখা হয় এবং শ্বাসকষ্টে তাঁরা মারা যান।


বরদৌলি সত্যাগ্রহ (1928) 

⇨ গুজরাটের বরদোলী জেলায় 22% ভূমিরাজস্ব বৃদ্ধি হলে 1927 খ্রিস্টাব্দে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল নো রেভিনিউ ক্যাম্পেন শুরু করেন। ব্রিটিশরা সেই আন্দোলন দমনের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। সরকার একটি অনুসন্ধান কমিটি নিয়োগ করেন। এই কমিটির সুপারিশে ভূমিরাজস্ব কমানো হয়। এই সত্যাগ্রহের অনুসন্ধানের জন্য সরকার ম্যাক্সওয়েল ব্লুমফিল্ডকে নিয়োগ করেন। কানভার্মি মেহেতা ও কল্যানজি মেহেতা, দুই ভাই এই আন্দোলন শুরুর জন্য সর্দার প্যাটেলকে অনুরোধ করেন। তাঁরা জমিদার যুবক মণ্ডল প্রতিষ্ঠা করেন।


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad