৪২তম সংবিধান সংশোধন:-
➡ ৪২তম সংবিধান সংশোধন করা হয় ১ এপ্রিল ১৯৭৬ সালে।
➡ ৪২তম সংশোধনে প্রস্তাবনার সঙ্গে ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্ম-নিরপেক্ষ’ শব্দদ্বয় যুক্ত করে ভারতকে একটি ‘সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্ম নিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র' হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
➡ ৪২তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় ‘ঐক্যের’ পর ‘সংহতি' শব্দটি সংযোজন করা হয়েছিল।
➡ ৪২তম সংশোধনে লোকসভা এবং রাজ্যসভার কার্যকাল ছ'বছর করা হয়েছে।
- >> আরও পড়ুন : ভারতের রাষ্ট্রপতি
➡ ৩১(c) নং ধারা সংশোধন করে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্দেশমূলক নীতিকে কার্যকর করার জন্য প্রণীত কোনো আইনকে ১৪, ১৯ এবং ৩১ নং ধারা লঙ্ঘন করার অজুহাতে আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা যাবে না।
➡ ৪২তম সংশোধনে সংযোজন করা হয়েছে যে, সংসদ আইন প্রণয়ন করে সর্বভারতীয় বিচার বিভাগীয় কৃত্যক সৃষ্টির জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
➡ মূল সংবিধানে নাগরিকদের কর্তব্য সম্পর্কে কোনো উল্লেখ ছিল না। ৪২তম সংশোধনের মাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের দশটি কর্তব্যের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে এবং এর জন্য ৪(A) নামক একটি নতুন অংশ এবং ৫১(A) ধারায় যুক্ত করা হয়েছে।
- >> আরও পড়ুন : ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি
➡ ৪২তম সংশোধনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আদালত কোনো সংবিধান সংশোধন আইনের বৈধতা বিচার করতে পারবে না। সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সংবিধান নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে কি না, আদালত কেবল সেই বিষয়টিই বিবেচনা করতে পারবে।
➡ সংসদ ও রাজ্য আইনসভার ‘কোরাম' সম্পর্কেও এই সংশোধনে উল্লেখ করা হয়েছে।
- >> আরও পড়ুন : বৌদ্ধ ধর্ম ও গৌতম বুদ্ধ
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক প্রস্তুতির জন্য আমাদের এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সম্পুর্ন বিনামূল্যে পরীক্ষার প্রস্তুতি দেওয়া হয় এবং দৈনিক আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন। (alert-passed)