Header ad

ভারতীয় নাগরিকদের মৌলিক অধিকার: সাম্যের অধিকার কি এবং উল্লেখযোগ্য ধারা গুলির বিশ্লেষণ।

সাম্যের অধিকার Right to Equality

এই ব্লগে আমরা আলোচনা করেছি ভারতের সংবিধানে বর্ণিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারের অংশ — সাম্যের অধিকার (Right to Equality)। ভারতীয় সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ থেকে ১৮ পর্যন্ত যে অধিকারগুলো প্রতিটি নাগরিককে সমান মর্যাদা ও আইনসাম্মুখে সমতা প্রদান করে, তার বিস্তারিত বিশ্লেষণ রয়েছে এখানে। জাত, ধর্ম, লিঙ্গ, জন্মস্থান কিংবা বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্যের বিরুদ্ধে এই অধিকার কীভাবে রক্ষা করে সাধারণ মানুষের সম্মান ও ন্যায়বিচার, তাও তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও বাস্তব উদাহরণ, আদালতের গুরুত্বপূর্ণ রায় এবং এই অধিকারের সীমাবদ্ধতা নিয়েও এই ব্লগে আলোচনা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থী, গবেষক ও সচেতন নাগরিকদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক ও তথ্যবহুল হবে।

table of content (toc)

Explore the fundamental concept of the Right to Equality — a pillar of democratic societies that guarantees equal treatment under the law for all individuals, regardless of race, gender, caste, religion, or place of birth. This blog dives into the legal, social, and ethical dimensions of equality, examining how it is protected in constitutions like that of India and its vital role in promoting fairness, dignity, and human rights. Whether you're a student, activist, or simply curious, this blog will deepen your understanding of why equality is not just a right — it's a responsibility we all share.

মৌলিক অধিকার (১২-৩৫ নং ধারা)

ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অংশ (Part III) এ (১২-৩৫ নং ধারা) মৌলিক অধিকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু মৌলিক অধিকার বলতে কী বোঝায়, তা এক কথায় বলা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য ব্যাপার। সাধারণভাবে বলা যায়, নাগরিক অধিকারসমূহের মধ্যে যেগুলি ব্যক্তিত্ব বিকাশের পক্ষে একান্ত অপরিহার্য বলে বিবেচিত হয়, সেগুলিকে মৌলিক অধিকার বলে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এম. এম. সিং-এর মতে, প্রাকৃতিক অধিকারের মধ্যে যেসব অধিকারের উৎস নিহিত থাকে, সেগুলিকে মৌলিক অধিকার বলে বর্ণনা করা যায়। অন্যান্য অধিকারের ওপর শ্রেষ্ঠত্বের জন্যই এইসব অধিকারকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। 

এ. কে গোপালন বনাম মাদ্রাজ রাজ্য মামলায় (১৯৫০) রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি পাতঞ্জলি শাস্ত্রী এই অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন  যে, ভারতীয় সংবিধানের তৃতীয় অংশে লিপিবদ্ধ "মৌলিক  অধিকারগুলি হল মৌলিক।" কারণ, চরম সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিকারী হিসেবে জনগণ তাদের নিজেদের জন্য এগুলিকে নিজেদের হাতে রেখে দিয়েছে। অন্যভাবে বলা যায়, শাসন বিভাগ ও আইন বিভাগের কর্তৃত্বের বাইরে এইসব অধিকার রয়েছে বলে এগুলিকে মৌলিক অধিকার বলা হয়। মূল সংবিধানে এই অধিকারগুলিকে ৭ ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। 

কিন্তু ১৯৭৮ সালে ৪৪-তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের অংশ থেকে বাদ দেওয়ার ফলে বর্তমানে ভারতীয় নাগরিকরা ৬ প্রকার মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারেন। এগুলি হল- 

  • (১) সাম্যের অধিকার; 
  • (২) স্বাধীনতার অধিকার: 
  • (৩) শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার; 
  • (৪) ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার; 
  • (৫) সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকার এবং 
  • (৬) সাংবিধানিক প্রতিবিধানের অধিকার।


* সাম্যের অধিকার (Right to Equality)

সাম্যের অর্থ: 

সাম্য বলতে বোঝায় ধনী-নির্ধন, অভিজাত-অভাজন, স্ত্রী-পুরুষ, জাতি, ধর্ম, বর্ণ প্রভৃতি নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষকে তার আত্মবিকাশের উপযোগী সমান সুযোগ- সুবিধা প্রদান। অধ্যাপক হ্যারল্ড ল্যাস্কি-র মতে, সমাজের মধ্যে যদি বিশেষ সুযোগ- সুবিধার ব্যবস্থা বর্তমান থাকে, তাহলে জনগণের কোনোরকম স্বাধীনতা থাকতে পারে না। তাই সাম্যের অধিকার আধুনিক ধারা গণতান্ত্রিক সমাজে স্বীকৃতি লাভ করেছে। ভারতেও সাম্যের অধিকার সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। 

  • 12 নং ধারা: রাষ্ট্রের সংজ্ঞা ও বর্ণনা
  • 13 নং ধারা: মৌলিক অধিকারগুলির অধিকারগুলিকে খর্ব করে সঙ্গে সঙ্গতিহীন আইন অথবা মৌলিক এমন আইন বাতিলযোগ্য।
  • 14 নং ধারা: সাম্যের অধিকার।
  • 15 নং ধারা: জাতি, ধর্ম, বর্ণ, স্ত্রী, পুরুষ, জন্মস্থান ইত্যাদি নির্বিশেষে যে-কোনো বৈষম্যকে নিষিদ্ধকরণ।
  • 16 নং ধারা: সরকারি চাকুরিলাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকদের সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান। 
  • 17 নং ধারা: অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধকরণ।
  • 18 নং ধারা: পদবীগ্রহণ নিষিদ্ধকরণ।

আইনের দৃষ্টিতে সমতার অধিকার ও তার ব্যতিক্রম:

ভারতীয় সংবিধানের ১৪ থেকে ১৮ নং ধারায় সাম্যের অধিকার ঘোষিত ও স্বীকৃত হয়েছে। সংবিধানের ১৪ নং ধারায় বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তিকে 'আইনের দৃষ্টিতে সমতা' কিংবা 'আইনসমূহ কর্তৃক সমভাবে রক্ষিত' হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করবে না। 'আইনের দৃষ্টিতে সমতা'র অর্থ হল-আইনের কাছে সবাই সমান, অর্থাৎ কোনো ব্যক্তিই আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং কেউই বিশেষ কোনো সুযোগসুবিধা দাবি করতে পারে না। কিন্তু ভারতে 'আইনের দৃষ্টিতে সমতা' নীতির কতকগুলি ব্যতিক্রম লক্ষ করা যায়, যথা- 

  • (i) রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালগণ পদাধিকারবলে যেসব ক্ষমতা প্রয়োগ এবং কর্তব্য সম্পাদন করেন কিংবা তা. সম্পাদন করতে গিয়ে যেসব কার্য করেন, সেজন্য তাঁদের কোনো আদালতের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয় না। 
  • (ii) স্বপদে বহাল থাকাকালীন রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালদের বিরুদ্ধে বা কোনো ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। 
  • (iii) স্বপদে থাকাকালীন এঁদের গ্রেপ্তার বা কারাবাসের জন্য আদালত নির্দেশ দিতে পারেন না। 
  • (iv) এমনকী, স্বপদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত ব্যক্তিগত কার্যাবলির জন্য রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালগণের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করার জন্য ২ মাসের নোটিশ দিতে হয়। 
  • (v) বিদেশি রাষ্ট্রের  শাসকগণ এবং রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা যায় না। 
  • (vi) যুদ্ধকালীন অবস্থায় শত্রুপক্ষের ব্যক্তিরা ভারতীয় আদালতে মামলা রুজু করার সুযোগ পায় না এবং অন্যান্য বন্দির মতো সুযোগ সুবিধাও দাবি করতে পারে না। 
  • (vii) পার্লামেন্ট এবং রাজ্য-আইনসভার সদস্যরা বেশ কয়েকটি 'বিশেষাধিকার' ভোগ করেন। 
  • (viii) ৪৪তম সংবিধান সংশোধনী আইন (১৯৭৮) অনুসারে পার্লামেন্ট আইন প্রণয়নের মাধ্যমে প্রশাসনিক আদালত গঠন করতে পারে। যে কোনো সরকারি কর্মচারী, স্থানীয় সংস্থা বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের চাকুরি-সংক্রান্ত যাবতীয় বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব এরূপ আদলতের হাতে অর্পণ করা হয়।

আইন কর্তৃক সমভাবে রক্ষিত হওয়ার অধিকার ও তার ব্যতিক্রম: ১৪ নং ধারা

সংবিধানের ১৪ নং ধারার দ্বিতীয় অংশে বর্ণিত 'আইন কর্তৃক সমভাবে রক্ষিত হওয়া' বলতে বোঝায় সমান অবস্থায় সমপর্যায়ভুক্ত সব ব্যক্তির প্রতি আইন সমান আচরণ এবং সবাইকে সমানভাবে রক্ষা করবে। এর অর্থ এই নয় যে, অবস্থার বিচারবিশ্লেষণ না করে প্রতিটি আইন সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রযুক্ত হবে। তবে যুক্তিসংগতভাবে বিভিন্ন বাক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যেতে পারে এবং প্রতিটি পৃথক ক্ষেত্রে আইন পৃথকভাবে প্রযুক্ত হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, যাঁরাই আয় করেন, তাঁদের সবাইকে আয়কর দিতে হয় না। আয়ের পরিমাণের ভিত্তিতে বিভিন্ন শ্রেণির ব্যক্তিকে ভিন্ন ভিন্ন হারে আয়কর প্রদান করতে হয়।

জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি নির্বিশেষে সমানাধিকার ও তার ব্যতিক্রম: ১৫ নং ধারা

সংবিধানের ১৫ নং ধারায় বলা হয়েছে যে-

  • (ক) ধর্ম, জাতি, বর্ণ, স্ত্রী-পুরুষ, জন্মস্থান প্রভৃতি কারণে রাষ্ট্র কোনো নাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না। 
  • (খ) আবার, সর্বসাধারণের জন্য ব্যবহৃত দোকান, হোটেল, রেস্তোরাঁ, স্নানাগার, পুষ্করিণী এবং অন্যান্য প্রমোদস্থলে প্রবেশের ক্ষেত্রে জাতি, ধর্ম, বর্ণ প্রভৃতির জন্য কোনো ভেদ-বিচার করা হবে না। তবে, (i) জনস্বার্থে রাষ্ট্র কতকগুলি বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে, যেমন-সরকার জনস্বাস্থ্য রক্ষার প্রয়োজনে পূর্বোক্ত স্থানগুলিতে কোনো ছোঁয়াচে রোগীর প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে পারে। (ii) রাষ্ট্র নারী ও শিশুদের উন্নতির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম। (iii) তা ছাড়া, সামাজিক অথবা শিক্ষাক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণি এবং তফশিলভুক্ত জাতি ও উপজাতিগুলির উন্নতির জন্য রাষ্ট্র বিশেষ ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারে। 

সরকারি চাকুরিতে সকলের সমানাধিকার ও তার ব্যতিক্রম: ১৬ নং ধারা

  • সরকারি চাকুরি বা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব নাগরিকের সমান সুযোগসুবিধা থাকবে [১৬ (১) নং ধারা)।
  • জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, বংশ, জন্মস্থান বা বাসস্থানগত কারণে কোনো নাগরিক সরকারি চাকুরি বা পদে নিয়োগের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না কিংবা তার প্রতি কোনোরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না [১৬ (২) নং ধারা]। তবে এই সমানাধিকারেরও কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। এগুলি হল: 
  • (i) যে-কোনো অঙ্গরাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি চাকুরি বা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি চাকুরি বা পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বসবাসগত যোগ্যতাকে পার্লামেন্ট অন্যতম শর্ত হিসেবে আরোপ করতে পারে (১৬ (৩) নং ধারা]। কিন্তু কোনো রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্দিষ্ট কোনো অংশের বসবাসগত যোগ্যতাকে চাকুরি পাওয়ার শর্ত হিসেবে স্থির করে দেওয়ার ক্ষমতা পার্লামেন্টের নেই। 
  • (ii) প্রয়োজন মনে করলে রাষ্ট্র অনুন্নত শ্রেণির নাগরিকদের জন্য কিছু সরকারি পদ বা চাকুরি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে [১৬ (৪) নং ধারা)। 
  • (iii) কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের চাকুরি সংশ্লিষ্ট ধর্মাবলম্বী ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা যায় [১৬ (৫) নং ধারা)। 
  • (iv) প্রশাসনিক দক্ষতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে সরকার তফশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত ব্যক্তিদের কেন্দ্রীয় বা রাজ্যের সরকারি চাকুরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার প্রদান করতে পারে [৩৩৫ নং ধারা)। 
  • (v) ভারতের মূল সংবিধানের ৩৩৬ নং ধারায় বলা হয়েছিল যে, নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার পূর্বে ইঙ্গ-ভারতীয়দের জন্য কয়েকটি সরকারি পদ সংরক্ষিত রাখার যে ব্যবস্থা ছিল, ১৯৬০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত তা বহাল রাখার ব্যবস্থা করা হবে। ১৯৬০ সালের ২৫ জানুয়ারি থেকে এই বিশেষ সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। 

অস্পৃশ্যতা বর্জন: ১৭ নং ধারা

  • ভারতীয় সংবিধানে অস্পৃশ্যতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্পৃশ্য বলে কোনো ভারতীয়কে সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত করা কিংবা অসম্মান করা হলে আইনত শাস্তি পেতে হয় (১৭ নং ধারা)। সংবিধানের এই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য ১৯৫৫ সালে অস্পৃশ্যতা (অপরাধ) আইন প্রণীত হয়। কিন্তু অস্পৃশ্যতা আচরণ দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও ভারতীয় সমাজজীবনে এখনও তা দুষ্ট ক্ষতের মতো নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে।

উপাধি গ্রহণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ: ১৮ নং ধারা

১৮ নং ধারায় ভারতীয় জনগণের মধ্যে সাম্য নীতিটির সার্থক রূপায়ণের জন্য কোনোরূপ উপাধি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। 

  • (i) কেবল সামরিক ও শিক্ষাগত উপাধি ছাড়া রাষ্ট্র কোনো ব্যক্তিকে অন্য কোনো উপাধি প্রদান করে না। 
  • (ii) তা ছাড়া, কোনো ভারতীয় নাগরিক কোনো বিদেশি রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না। তবে ভারত সরকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ভারতরত্ন, পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণ প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত করেন। কিন্তু রাজা, মহারাজা, নবাব প্রভৃতির মতো এগুলি উপাধি নয়, পুরস্কার বা সম্মান মাত্র। তা ছাড়া রাষ্ট্র প্রদত্ত সম্মানসূচক পুরস্কারগুলি যাঁরা পান, তাঁরা নামের পাশে অথবা চিঠির মধ্যে এগুলির কোনো উল্লেখ করতে পারেন না।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area