🎓 **সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকার – প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য অপরিহার্য সংবিধানভিত্তিক টপিক** 🎓
এখানে ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকার “সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকার” (Cultural and Educational Rights) নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে। সংবিধানের Article 29 ও 30 অনুযায়ী, সংখ্যালঘু গোষ্ঠী বা ভাষাভিত্তিক জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি, ভাষা ও শিক্ষাগত অধিকার সংরক্ষণের পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। এই অধিকারগুলি ভারতীয় গণতন্ত্রে বহুত্ববাদ ও সমানাধিকারের প্রতিফলন।
📘 **এই টপিক থেকে আপনি জানতে পারবেন**:
- Article 29 ও 30-এর ব্যাখ্যা
- সংখ্যালঘুদের শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানের অধিকার
- সংস্কৃতিগত বৈচিত্র্য সংরক্ষণের সাংবিধানিক দিক
- WBCS, SSC, State Exam এর জন্য উপযোগী তথ্য
সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক অধিকার (Cultural and Educational Rights)
- 29 নং ধারা: সংখ্যালঘুশ্রেণির সংক্রান্ত নাগরিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিষয়সমূহ।
- 30 নং ধারা: সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিবর্গ নিজেদের পছন্দমতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবে।
গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি হল সুচিন্তিত ও সুগঠিত জনমত। জনগণ যদি অজ্ঞতা, অশিক্ষা, কুসংস্কার প্রভৃতিতে আচ্ছন্ন থাকে, তবে স্বাভাবিকভাবেই তাদের রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে না। আর রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ না ঘটলে গণতন্ত্রের সাফল্যের স্বপ্ন দেখা বাতুলতা মাত্র। ভারতীয়। সংবিধানের ২৯ এবং ৩০ নং ধারায় সংস্কৃতি ও শিক্ষা-বিষয়ক। অধিকার ঘোষিত হয়েছে। বলা হয়েছে যে-
- (i) সব শ্রেণির নাগরিক নিজ নিজ ভাষা, লিপি ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করার অধিকারী। এই অধিকারের স্বীকৃতির মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলির স্বার্থ সংরক্ষণের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- (ii) তা ছাড়া, রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত অথবা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার থেকে কোনো ব্যক্তিকেন্ধর্ম, বংশ, জাতি বা ভাষার অজুহাতে বঞ্চিত করা যাবে না। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে প্রবেশাধিকারের জন্য উপযুক্ত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। ধর্ম অথবা ভাষাভিত্তিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলি নিজেদের পছন্দমতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারে। এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাহায্য প্রদানের বিষয়ে রাষ্ট্র কোনোরূপ বৈষম্যমূলক আচরণ করবে না। এরূপ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আসন সংরক্ষিত রাখা যাবে না। এই কারণে মাদ্রাজ (বর্তমান তামিলনাডু) সরকারি কলেজে ধর্মের ভিত্তিতে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থাটি সংবিধান- বিরোধী বলে বাতিল হয়ে যায়।
- (iii) আবার, রাষ্ট্র সংখ্যালঘু শ্রেণির কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে চাইলে তাকে 'পুরো ক্ষতিপুরণ' প্রদান করতে হবে। [৩০ (১-ক) নং ধারা]।
🎯 সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক অধিকার, Article 29 30 Bengali, মৌলিক অধিকার, Cultural and Educational Rights in Bengali, Constitution GK Bengali, WBCS polity GK, SSC Bengali GK, UPSC polity in Bengali 📚 **দ্রুত রিভিশনের জন্য আদর্শ ব্লগ – স্মার্ট প্রস্তুতিতে এগিয়ে থাকুন!** (alert-success)