ধ্বনির আগম | স্বরাগম ও ব্যঞ্জনাগম কাকে বলে ও তার উদাহরণ।


Table of Content (toc)

 ধ্বনির আগম

ক) স্বরাগম

উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের আদিতে মধ্যে কোনটি স্বরধ্বনির আগমনকে স্বরাগম বলে। 

স্বরাগম তিন প্রকারের-----

১) আদি স্বরাগম 

উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের আদিতে স্বরধ্বনির আগমনকে আদি স্বরাগম বলা হয়। 

উদাহরণঃ- স্কুল>ইস্কুল, স্পেশাল >ইস্পিশাল, স্পর্ধা>আস্পর্ধা, স্টেশন >ইস্টিশান, স্ত্রী >ইস্ত্রিরি ইত্যাদি। 


২) মধ্যস্বরাগমঃ-

উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের মধ্যে স্বরধ্বনির আগমন হলে তাকে মধ্যস্বরাগম বলে। 

উদাহরণঃ-

'অ' এর আগম→ রত্ন >রতন, ধর্ম >ধরম্, স্বপ্ন>স্বপন। 

'ই' এর আগম→ প্রীতি >পিরীতি, ক্লিপ >কিলিপ, ফিল্ম >ফিলিম।

'উ' এর আগম→ মুক্তা >মুকুতা, দুষ্ট >দুষ্টু। 

'এ' এর আগম→ গ্রাম >গেরাম, স্রেফ >সেরেফ।


৩) অন্ত স্বরাগমঃ-

শব্দের অন্তে স্বরধ্বনির আগম হলে তাকে অন্ত স্বরাগম বলা হয়। 

উদাহরণঃ- বেঞ্চ > বেঞ্চি, লিস্ট >লিস্টি,  ফিস্ট >ফিস্টি।



খ) ব্যঞ্জনাগম

অনেক সময় বাইরে থেকে ব্যঞ্জনধ্বনি শব্দের মধ্যে জায়গা করে নেয় তাকে ব্যঞ্জনাগম বলে। 

ব্যঞ্জনাগম তিন প্রকারের –


১)আদি ব্যঞ্জনাগমঃ-শব্দের আদিতে ব্যঞ্জনধ্বনির আগম হলে তাকে আদি ব্যঞ্জনাগম বলে। 

উদাহরণঃ- ওঝা>রোজে, আম>রাম


২)মধ্য ব্যঞ্জনাগমঃ- শব্দের মধ্যে ব্যঞ্জনধ্বনির আগম হয়।

উদাহরণঃ-শৃগাল >শিয়াল, অম্ল >অম্বল, বানর >বান্দর। 


৩)অন্ত ব্যঞ্জনাগমঃ- শব্দের অন্তে ব্যঞ্জনধ্বনির আগম হয়।

উদাহরণঃ-জমি >জমিন, খোকা >খোকন।


*আপনার কিছুটা হলেও যদি উপকার হয় তাহলে পোস্টটিকে লাইক ও বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ। 


স্বরভক্তি বা বিপ্রকর্ষ 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad