আজকের টপিক "স্বাধীনতার অধিকার" বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা প্রদান করে, যা WBCS, SSC, UPSC, ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান (GK) বিভাগে বারবার আসা গুরুত্বপূর্ণ টপিক। এখানে আপনি জানবেন – স্বাধীনতার অধিকার কী, ভারতীয় সংবিধানে এর স্থান, মৌলিক অধিকার হিসেবে এর গুরুত্ব, এবং সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ রায় ও প্রাসঙ্গিক আর্টিকেল। সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা, তথ্যপূর্ণ বিশ্লেষণ ও প্র্যাকটিস প্রশ্নসহ এই ব্লগটি পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে সহায়ক হবে।
স্বাধীনতার অধিকার, মৌলিক অধিকার, ভারতীয় সংবিধান, GK for competitive exams, freedom rights in Bengali, WBCS GK, SSC Bengali GK নিয়মিত পড়ুন, স্মার্টভাবে প্রস্তুতি নিন – সাফল্য নিশ্চিত করুন! (alert-success)
The Right to Freedom is one of the most essential fundamental rights enshrined in the Indian Constitution, guaranteeing citizens civil liberties necessary for the functioning of a democratic society. This blog breaks down Articles 19 to 22, explaining the various freedoms it includes—like freedom of speech and expression, right to assemble, form associations, move freely, and more. It also covers reasonable restrictions, preventive detention, and key Supreme Court judgments. Designed specifically for competitive exam aspirants, this article provides a concise yet comprehensive overview to help you prepare effectively for polity sections in exams like UPSC, SSC, and State Services.
স্বাধীনতার অধিকার (Right to Freedom)
স্বাধীনতার অধিকার একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। ভারতীয় সংবিধানে নাগরিকদের ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার স্বীকার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবিধানের ১৯ থেকে ২২ নং ধারায় স্বাধীনতার অধিকার স্বীকৃতি লাভ করেছে।
ছ-প্রকার স্বাধীনতার অধিকার: বর্তমান সংবিধানের ১৯ (A) নং ধারায় নাগরিকদের ৬ প্রকার স্বাধীনতার অধিকার প্রদান করা হয়েছে, যথা-
- (১) বাঞ্ছাধীনতা ও মতামত প্রকাশের অধিকার;
- (২) শান্তিপূর্ণ ও নিরস্ত্রভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার,
- (৩) সংঘ বা সমিতি গঠনের অধিকার;
- (৪) ভারতের সর্বত্র চলাফেরা করার অধিকার;
- (৫) ভারতের যে-কোনো অঞ্চলে স্বাধীনভাবে বসবাস করার অধিকার এবং
- (৬) যে-কোনো বৃত্তি, পেশা বা ব্যাবসাবাণিজ্য করার অধিকার। মূল সংবিধানে 'সম্পত্তি দখল, অর্জন ও হস্তান্তর করার অধিকার' অন্যতম স্বাধীনতার অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৮ সালে ৪৪তম সংবিধান সংশোধনী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকারের অংশ থেকে বাদ দেওয়ার ফলে বর্তমানে তা মৌলিক অধিকারের কৌলিন্য হারিয়ে বিধিবদ্ধ আইনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
19 নং ধারা:
- (1) বাক্ ও মতামত প্রকাশের অধিকার।
- (ii) শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্রভাবে সমবেত হওয়ার অধিকার।
- (iii) সমিতি বা সংঘ গঠনের অধিকার।
- (iv) ভারতের সর্বত্র স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার।
- (v) ভারত ভূখণ্ডের যে-কোনো অংশে বসবাস করার অধিকার
- (vi) ভারত ভূখণ্ডের যে-কোনো বৃত্তি অবলম্বন করার, অথবা যে-কোনো উপজীবিকা, ব্যাবসা-বাণিজ্য চালানোর অধিকার।
20 নং ধারা: কোনো অপরাধের জন্য নাগরিককে বিধিবহির্ভূত ও অতিরিক্ত শাস্তি প্রদান করা যাবে না।
21 নং ধারা: জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সংরক্ষণ।
21 (A) নং ধারা: প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি প্রদান।
22 নং ধারা: গ্রেপ্তার ও আটক রাখার বিরুদ্ধে সংরক্ষণমূলক ব্যবস্থা। কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হলে সত্বর তাকে গ্রেপ্তারের কারণ জানাতে হবে।
(১) বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তার নিয়ন্ত্রণ:
- বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনের জন্য একান্ত অপরিহার্য। ভারতের প্রতিটি নাগরিক নিজ ধ্যানধারণা ও বিবেকবুদ্ধি অনুসারে মতামত প্রকাশ করতে পারে। মতামত লিখিত বা মৌখিকভাবে প্রকাশ করা যায়। চিঠিপত্র, পত্রপত্রিকা, পুস্তকপুস্তিকা কিংবা সংবাদপত্রের মাধ্যমেও মতামত প্রকাশিত হয়।
- প্রতোকে স্বাধীনভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করতে পারে। আবার, সভাসমিতি, আলাপ-আলোচনা, বিতর্ক প্রকাশিত হয়। সরকারের ভুলত্রুটির সমালোচনা করে সরকারকে সংযত থাকতে বাধ্য করার ব্যাপারে সংবাদপত্রগুলির ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতীয় সংবিধান নাগরিকদের বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কতকগুলি যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করেছে। (i) ভারতের সার্বভৌমিকতা ও সংহতি রক্ষা; (ii) রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষা; (iii) বৈদেশিক রাষ্ট্রের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন সংরক্ষণ; (iv) দেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা; (v) শালীনতা বা সদাচার রক্ষা: (vi) আদালত অবমাননা প্রতিরোধ; (vii) মানহানি প্রতিরোধ এবং (viii) অপরাধমূলক কার্যে প্ররোচনাদান বন্ধ করার উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র সাধারণ অবস্থাতেও বাক্ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ বা খর্ব করতে পারে [১৯ (২) নং ধারা]।
(২) সমবেত হওয়ার অধিকার ও তার নিয়ন্ত্রণ:
ভারতীয় নাগরিকদের সমবেত হওয়ার অধিকার সংবিধানে স্বীকৃতি লাভ করেছে। জনস্বার্থ- সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে আলাপ-আলোচনার জন্য জনসমাবেশে সমবেত হওয়ার এবং শোভাযাত্রা করার অধিকার নাগরিকদের আছে। কিন্তু এই অধিকার ৫টি শর্তাধীনে ভোগ করা যেতে পারে। শর্তগুলি হল-
(i) সভাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে হবে, (ii) নাগরিকরা নিরস্ত্রভাবে সভাসমাবেশ করতে পারবে এবং (iii) জনশৃঙ্খলার প্রয়োজনে রাষ্ট্র এই অধিকারের ওপর যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। তাছাড়া, ষোড়শ সংবিধান সংশোধনী (১৯৬৩) আইন বলে রাষ্ট্র (iv) ভারতের সার্বভৌমিকতা এবং (v) সংহতি রক্ষার জন্য প্রয়োজনে নাগরিকদের এই অধিকারের ওপর 'যুক্তিসংগত বাধানিষেধ' আরোপ করতে সক্ষম [১৯ (৩) নং ধারা]।
(৩) সংঘ ও সমিতি গঠনের অধিকার ও তার নিয়ন্ত্রণ:
ভারতীয় নাগরিকদের সংঘ ও সমিতি গঠনের অধিকার আছে। শ্রমিক সংঘ, ক্রীড়া, সংঘ, বিজ্ঞান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি-বিষয়ক সংঘ বা সমিতি, রাজনৈতিক দল প্রভৃতি গঠন এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এই অধিকারটি নিরঙ্কুশ নয়। (i) বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী নীতি বিগর্হিত উদ্দেশ্যে গঠিত কিংবা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নকারী সংঘ বা সমিতিগুলির ওপর সরকার যুক্তিসংগত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে। (ii) তা ছাড়া, ভারতের সার্বভৌমিকতা ও সংহতি রক্ষার প্রয়োজনেও সরকার এই অধিকারটিকে সংকোচন করতে সক্ষম (১৯ (৪) নং ধারা)। তবে রাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বাধানিষেধগুলি যুক্তিসংগত কি না, তা বিচার করার ক্ষমতা আদালতের হাতে অর্পিত হয়েছে।
(৪) ও (৫) যাতায়াত ও বসবাসের অধিকার এবং তার সীমাবদ্ধতা:
ভারতের সর্বত্র স্বাধীনভাবে যাতায়াত করার এবং যে-কোনো অঞ্চলে বসবাস করার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু (1) জনস্বার্থ এবং (ii) তফশিলভুক্ত উপজাতিগুলির স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র এই দুটি অধিকারের ওপর যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে [১৯ (৫) নং ধারা]।
(৬) বৃত্তি বা পেশা গ্রহণের অধিকার এবং তার সীমাবদ্ধতা:
প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক নিজ পছন্দমতো বৃত্তি, পেশা বা ব্যাবসাবাণিজ্য করার অধিকারী। কিন্তু জনস্বার্থে রাষ্ট্র এই অধিকারের ওপর যুক্তিসংগত বাধানিষেধ আরোপ করতে পারে। (i) জনস্বার্থ-বিরোধী যে-কোনো ব্যাবসাবাণিজ্যে সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে। (ii) তা ছাড়া, বিভিন্ন বৃত্তির ক্ষেত্রে কর্মীর যোগ্যতা নির্ধারণের ক্ষমতা সরকারের আছে [১৯ (৬) নং ধারা)। তবে, স্বাধীনতার অধিকারের ওপর আইন কর্তৃক আরোপিত বাধানিষেধগুলি যুক্তিসংগত কি না, তা বিচার করার ক্ষমতা আদালতের রয়েছে। কোনো আইন অযৌক্তিকভাবে বাধানিষেধ আরোপ করেছে বলে মনে করলে আদালত সংশ্লিষ্ট আইন বা তার যে-কোনো অংশকে সংবিধান-বিরোধী বলে বাতিল করে দিতে পারেন।
ব্যক্তিস্বাধীনতা ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা:
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে দেখা যায় যে, সংবিধানের ১৯ (১) নং উপধারাটি একদিকে যেমন নাগরিকদের কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ অধিকার প্রদান করেছে, অন্যদিকে তেমনি ১৯ (২)-(৬) নং উপধারাগুলি অধিকার সমূহের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপের ব্যবস্থা করেছে। এইভাবে ভারতীয় সংবিধান ব্যক্তিস্বাধীনতা এবং সামাজিক নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট হয়েছে।
দোষী সাব্যস্ত করা ও শান্তিদান-সংক্রান্ত ব্যবস্থাদি:
নাগরিকদের স্বাধীনতা যথার্থভাবে সংরক্ষণের জন্য সংবিধানে আরও কতকগুলি ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে। এগুলি হল-
- (i) ২০ (১) নং ধারায় বলা হয়েছে যে, আইনভঙ্গের অপরাধে কোনো ব্যক্তিকে কেবল প্রচলিত আইন অনুসারে শাস্তি প্রদান করতে হবে অর্থাৎ যে অবস্থায় এবং যে। সময়ে কোনো কাজকে অপরাধমূলক বলে ঘোষণা করা হয়, সেই সময়ের প্রচলিত আইন অনুসারে অপরাধমূলক কার্যে লিপ্ত থাকার জন্য সেই অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করা হবে। কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করে পূর্ব-সম্পাদিত অপরাধের বিচার করা হবে না।
- (ii) কোনো ব্যক্তিকে একই অপরাধের জন্য একাধিকবার শাস্তি প্রদান করা যাবে না [২০ (২) নং ধারা]। কিন্তু কোনো সরকারি কর্মচারী যদি অপরাধ করে, তবে বিচার বিভাগ ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাকে শাস্তি দিতে পারে।
- (iii) অভিযুক্ত ব্যক্তিকে নিজের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা যায় না [২০ (৩) নং ধারা)।
জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার অধিকার:
'আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি' ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কোনো ব্যক্তিকে তার জীবন অথবা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা যায় না (২১ নং ধারা)। 'আইন-নির্দিষ্ট পদ্ধতি' বলতে বোঝায়- যে-আইন অনুসারে ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হবে, সেই আইনটি বৈধ আইনসভা কর্তৃক বিধিসম্মতভাবে প্রণীত হয়েছে কি না, কেবল তা বিচার করার ক্ষমতা আদালতের থাকবে। কিন্তু কোনো আইন স্বাভাবিক ন্যায়নীতিবোধ -এর বিরোধী কি না, তা বিচার করার ক্ষমতা ভারতীয় বিচার বিভাগের নেই। এদিক থেকে বিচার করে বলা যেতে পারে যে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা অপেক্ষা কম। তবে সাম্প্রতিককালে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টগুলি বিভিন্ন জনস্বার্থ-সংক্রান্ত মামলা-র রায় দিতে গিয়ে কোনো আইন ন্যায়নীতিবোধের বিরোধী কি না, তা বিচার করার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন।
শিক্ষার অধিকার:
- ২০০২ সালে ৮৬তম সংবিধান সংশোধনের মাধমে সংবিধানের মধ্যে ২১-ক নং ধারাটি সংযোজিত হয়। এই ধারায় শিক্ষার অধিকারকে মৌলিক অধিকারের মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। এই ধারা অনুসারে, রাষ্ট্র ৬-১৪ বছর বয়স্ক প্রতিটি শিশুর জন্য অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা-র ব্যবস্থা অবশ্যই করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে যে, উন্নিকৃষ্ণাণ বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য মামলায় (১৯৯৩) প্রদত্ত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট শিক্ষার অধিকারকে জীবনের অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে চিহ্নিত করেছিলেন।
- এই রায়দানের পর ১৯৯৮ সালে তদানীন্তন যুক্তফ্রন্ট সরকার শিক্ষার অধিকারাকে মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যে রাজ্যসভায় ৮৩তম সংবিধান সংশোধন বিল পেশ করেছিল। ওই বিলে ৬-১৪ বছর বয়স্কদের শিক্ষালাভের অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতিদানের জন্য ২১-ক নং একটি ধারা সংবিধানে সন্নিবিষ্ট কররার কথা বলা হয়। অনেক টালবাহানার পর বি.জে.পি-র নেতৃত্বাধীন পূর্বতন জোট সরকার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৯৩তম সংবিধান সংশোধনী বিল পার্লামেন্টে উত্থাপন করে এবং ২০০২ সালে তা ৮৬তম সংবিধান সংশোধনী আইন হিসেবে গৃহীত হলে শিক্ষার অধিকার মৌলিক অধিকারের মর্যাদা লাভ করে।
গ্রেপ্তার ও আটক সম্পর্কিত নিয়মাবলি:
সংবিধানের ২২ নং ধারা অনুসারে-
- (ক) যুক্তিসংগত কারণ না দেখিয়ে কোনো ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা যায় না।
- (খ) আটক ব্যক্তিকে উকিলের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যায় না [২২ (১) নং ধারা)।
- (গ) গ্রেপ্তার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক ব্যক্তিকে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ ছাড়া তাকে অতিরিক্ত সময়ের জন্য কোনোভাবেই আটক রাখা যাবে না [২২ (২) নং ধারা)।
- কিন্তু (1) 'শত্রুভাবাপন্ন বিদেশি' এবং (ii) নিবর্তনমূলক আটক আইন-এ ধৃত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলি প্রযোজ্য হবে না [২২ (৩) নং ধারা]।