Square ad

লাইসোজোম এর সংজ্ঞা, আবিষ্কার, উৎপত্তি, বিস্তৃতি, সংখ্যা, আকার, অবস্থান ও কাজ।

লাইসোজোম এর সংজ্ঞা, আবিষ্কার, উৎপত্তি ও বিস্তৃতি

 table of content (toc)

লাইসোজোম

সংজ্ঞা: 

  • আদর্শ প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে একক পর্দাবেষ্টিত, আর্দ্রবিশ্লেষক উৎসেচকপূর্ণ, প্রায় গোলাকার থলির মতো অতি ক্ষুদ্র যেসব অঙ্গাণু অন্তঃকোশীয় ও বহিঃকোশীয় পরিপাকে সাহায্য করে, তাদের লাইসোজোম বলে।

আবিষ্কার: 

  • ১৯৫৫ সালে দ্য দূভে প্রথম লাইসোজোম আবিষ্কার করেন।

উৎপত্তি:

  •  লাইসোজোম এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম এবং গলগি বস্তু থেকে উৎপন্ন হয়।

বিস্তৃতি: 

  • লাইসোজোম মানুষের লোহিত রক্ত কণিকা ছাড়া প্রায় সব প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে অবস্থান করে। 
  • কিছু কিছু উদ্ভিদকোশে, যেমন- পেঁয়াজের বীজকোশে, তামাক ও ভুট্টার চারা উদ্ভিদকোশে এবং থ্যালোফাইটাভুক্ত কয়েকটি উদ্ভিদকোশে লাইসোজোম বর্তমান।।

সংখ্যা: 

  • কোশে এদের সংখ্যা অনির্দিষ্ট। তবে ক্ষরণকারী কোশে এবং শ্বেত কণিকার কোশে এদের সংখ্যা বেশি থাকে।

আকারও আয়তন: 

  • আকারে লাইসোজোম সাধারণত গোলাকার বা বর্তুলাকার হয়। লাইসোজোমের ব্যাস 0.2-0.8 µm হয়।

কাজ: 

  • অন্তঃকোশীয় পাচন: ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় কোশে গৃহীত খাদ্যবস্তু লাইসোজোম নিঃসৃত উৎসেচকের সাহায্যে পাচিত হয়। বহিঃকোশীয় পাচন: লাইসোজোম উৎসেচক নিক্ষেপ করে বহিঃকোশীয় পাচন ঘটায়। যেমন- শুক্রাণু উৎসেচক নিক্ষেপ করে ডিম্বাণুর প্রাচীরকে পরিচিত করে শুক্রাণুর প্রবেশ পথ তৈরি করে।
  • অটোফ্যাগি: রূপান্তরকোলে লাইসোজোম নিঃসৃত উৎসেচকের সাহায্যে ব্যাঙাচির লেজ, ফুলকা ইত্যাদি পাচিত হয়ে বিলুপ্ত হয়, এই প্রক্রিয়াকে অটোফ্যাগি বলে। পাচিত বস্তু দেহের অন্যান্য অংশের বৃদ্ধিতে সাহায্যে করে।
  • শক্তির জোগান উপবাসকালে কোশে সঞ্চিত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট ইত্যাদি লাইসোজোম নিঃসৃত উৎসেচক দ্বারা তরলে পরিণত হয় এবং জারিত হয়ে শক্তির জোগান দেয়।
  • দেহের প্রতিরক্ষা: শ্বেতকণিকা লাইসোজোম উৎসেচক নিক্ষেপ করে বিভিন্ন বহিরাগত প্রোটিন, বিষাক্ত পদার্থ, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ইত্যাদিকে ধ্বংস করে দেহের প্রতিরক্ষায় সাহায্য করে।
  • স্পার্ম লাইসিন: স্পার্ম লাইসিন লাইসোজোম নিঃসৃত উৎসেচক যা নিষেক কালে ডিম্বাণুর প্রাচীরকে পাচিত করে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad