রাইবোজোম কাকে বলে, আবিষ্কার, উৎপত্তি, অবস্থান ও কাজ।
Admin
0
রাইবোজোম
সংজ্ঞা:
আদর্শ কোশের সাইটোপ্লাজমে, ক্লোরোপ্লাস্ট ও মাইটোকন্ড্রিয়ার ভিতরে, নিউক্লীয় পর্দা এবং এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলামের গাত্রে যে সকল 100-400 ব্যাস বিশিষ্ট রাইবোপ্রোটিন নির্মিত কণা থাকে এবং যার মধ্যে প্রোটিন এবং পলিপেপটাইড সংশ্লেষিত হয় তাকে রাইবোজোম বলে।
আবিষ্কার:
ক্লড: ১৯৪৩ সালের প্রথম উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।
রবিনসন ও ব্রাউন: ১৯৫৩ সালে উদ্ভিদকোশে রাইবোজোম আবিষ্কার করেন।
প্যালাডে: ১৯৫৫ সালে প্রাণীকোশে পর্যবেক্ষণ করেন এবং রাইবোজোম নামকরণ করেন।
অবস্থান:
আদি কোশে রাইবোজোম সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে অবস্থান করে।
আদর্শ কোশে এরা সাইটোপ্লাজম, নিউক্লীয় পর্দা, নিউক্লিওলাস এবং অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলামের পর্দায় থাকে।
রাইবোজোম মাইটোকন্ড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টেও পাওয়া যায়।
আকার ও আয়তন:
রাইবোজোম আকারে উপবৃত্তাকার এবং দু-পাশ থেকে ঈষৎ চ্যাপটা।
রাইবোজোম আয়তনে 150-250Å হয়। প্রোক্যারিওটিক কোশে 50S ও 30S উপএকক একত্রে 70S রাইবোজোম হল- দৈর্ঘ্যে 200-290Å এবং প্রস্থে 170-210Å হয়।
ইউক্যারিওটিক কোশে 60S ও 40S উপএকক একত্রে 80S রাইবোজোম হল দৈর্ঘ্যে 300-340Å; এবং প্রস্থে 200-240Å হয়।
উৎপত্তি:
রাইবোজোম নিউক্লিয়াসের নিউক্লিওলাস থেকে উৎপন্ন হয়।
সংখ্যা:
ই.কোলাই ব্যাকটেরিয়ার কোশে রাইবোজোমের সংখ্যা 20,000-30,000 এবং আদর্শ কোশে এদের সংখ্যা প্রায় 100,000 হয়।
ইস্ট কোশে লিম্ফোসাইট, উদ্ভিদের ভাজক কলার কোশে এবং স্নায়ুকোশে অসংখ্য।
কাজ :
রাইবোজোমের প্রধান কাজ প্রোটিন সংশ্লেষ করা। এই প্রক্রিয়ায় m-RNA, t-RNA এবং বিভিন্ন উৎসেচকের সহায়তায় বিভিন্ন অ্যামাইনো
অ্যাসিডগুলি রাইবোজোমে শৃঙ্খলিত হয়ে প্রোটিন গঠন করে। প্রোটিন সংশ্লেষ করায় রাইবোজোমকে প্রোটিন ফ্যাক্টরি বলে।
সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত মুক্ত রাইবোজোম প্রোটোপ্লাজমা গঠনের জন্য বিভিন্ন প্রোটিন সংশ্লেষ করে।
ER বা নিউক্লিয় আবরণীর গাত্রে অবস্থিত রাইবোজোম বিভিন্ন প্রকার ক্ষতির প্রোটিন, উৎসেচক ইত্যাদি সংশ্লেষ করে। অর্থাৎ রাইবোজোম কোশের ক্ষরণে সাহায্য করে।