কোশগহ্বর বা ভ্যাকুওল এবং প্লাসটিড এর সংজ্ঞা, আবিষ্কার ও কাজ। ক্লোরোপ্লাস্ট, ক্রোমোপ্লাস্ট, লিউকোপ্লাস্ট কি?
Admin
0
কোশগহ্বর বা ভ্যাকুওল
সংজ্ঞা:
আদর্শ কোশের সাইটোপ্লাজমে স্থানে স্থানে আবরণী বেষ্টিত যেসব সাইটোপ্লাজমাবিহীন স্থান অর্থাৎ গহ্বর থাকে, তাদের কোশগহ্বর বা ভ্যাকুণ্ডল বলে।
গঠন:
ভ্যাকুওল দেখতে অনেকটা গহ্বরের মতো।
এদের নির্দিষ্ট কোনো আকার থাকে না।
গহ্বরগুলি একটি সূক্ষ্ম আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে। এই পর্দার গঠন অনেকটা কোশপর্দার মতো।
উদ্ভিদকোশের গহ্বরে এরকম জলীয় পদার্থ থাকে, একে কোশরস বলে।
কাজ:
খাদ্যগহ্বর: এককোশী প্রাণীরা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে যখন কঠিন খাদ্য গ্রহণ করে, তখন সাইটোপ্লাজমে খাদ্যসহ যে গহ্বর গঠিত হয় তাকে খাদ্যগহ্বর বলে। এই খাদ্যগহ্বরে তাদের খাদ্য পরিপাক হয়।
রেচন গহ্বর: কোশের বিপাকজাত দূষিত পদার্থ যেসব গহ্বরে জমা হয়, তাদের রেচন গহ্বর বলে।
সংকোচী গহ্বর: যেসব রেচন গহ্বর বা বর্জ্য পদার্থ সঞ্চয়কারী গহ্বরে সংকোচনশীল, তাদের সংকোটী গন্থর বলে। এই গন্থরগুলি সংকোচন-প্রসারণের সাহায্যে কোশের পরিধির দিকে এসে ফেটে যায় বা সুক্ষ্ম নালির মাধ্যমে বর্জ্য পদার্থটিকে কোশের বাইরে বাইরে বের করে দেয়।
জল গহ্বর: জলে বসবাসকারী এককোষী প্রাণীদের কোষপর্দা পিনোসাইটোসিস পদ্ধতিতে যখন জল গ্রহণ করে তখন সাইটোপ্লাজমে জল গহ্বরের সৃষ্টি হয়।
প্লাসটিড
সংজ্ঞা:
সজীব উদ্ভিদকোশের সাইটোপ্লজমে অবস্থিত লাইপোপ্রোটিন নির্মিত দুটি একক পর্দাবেষ্টিত বর্ণহীন বা বর্ণযুক্ত, গোলাকার, ডিম্বাকার, দণ্ডাকার, ফিতাকৃতি ইত্যাদি আকৃতিবিশিষ্ট যেসব অঙ্গাণু উদ্ভিদের খাদ্য সংশ্লেষে, খাদ্যসঞ্চয়ে এবং বর্ণগঠনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে, তাদের প্লাসটিড বলে।
আবিষ্কার:
১৮৬৬ সালে ই হেকেল প্রথম প্লাস্টিড আবিষ্কার করেন।
কাজ:
সালোকসংশ্লেষে অংশগ্রহণ, ফুল ও ফলের বর্ণগঠনে অংশগ্রহণ করে।
লিউকোপ্লাস্টের অ্যামাইলোপ্লাস্টিড শ্বেতসার, অ্যালাইওপ্লাস্টিড স্নেহপদার্থ ও অ্যালিউরোন প্লাস্টিড প্রোটিন সঞ্চয় করে।
শ্রেণি-বিভাগ:
গঠন, কাজ এবং রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতি অনুসারে বিজ্ঞানী শিম্পার গ্লাসটিওদের প্রধান ৩ ভাগে ভাগ করেছেন, যেমন- ক্রোমোপ্লাস্ট, ক্লোরোপ্লাস্ট ও লিউকোপ্লাস্ট।
ক্লোরোপ্লাস্ট
অবস্থান : উদ্ভিদের সবুজ পাতা, বৃতি, কচি কাণ্ড, সবুজ মূল ইত্যাদি অংশে থাকে।
রঞ্জক: ক্লোরোফিল-a. ক্লোরোফিল-b নামক রঞ্জক থাকে। এরা সবুজ রঙের হয়।
কাজ:সালোকসংশ্লেষে অংশগ্রহণ করে।
ক্রোমোপ্লাস্ট
অবস্থান: বাদামি শৈবাল, ডায়াটম, ডাইনোফ্ল্যাজেলেট।
রঞ্জক: ফিউকোজ্যান্থিন। এরা ফুল ও ফলের রঙের জন্য দায়ী।