মাইটোকন্ড্রিয়া ও সাইটোপ্লাজম এর সংজ্ঞা, গঠন, আবিষ্কার, উৎপত্তি ও কাজ।

table of content (toc)

সাইটোপ্লাজম

সংজ্ঞা: 

• কোষের মধ্যে যে সজীব, স্বচ্ছ, দানাদার কোলয়েড জাতীয় পদার্থ থাকে তাকে প্রোটোপ্লাজম বলে। প্রোটোপ্লাজমের যে অর্ধতরল, স্বচ্ছ ও দানাদার পদার্থ নিউক্লীয়পর্দা ও কোশপদীর মাঝে অবস্থান করে তাকে সাইটোপ্লাজম বলে।

গঠন: 

• ধাত্র, সাইটোপ্লাজমীয় কঙ্কাল, এন্ডোমেমব্রেন তন্ত্র, পদাবৃত অঙ্গাণু ও মাইক্রোটিউবিউলার অঙ্গাণু নিয়ে গঠিত।

কাজ: 

• কোশের অঙ্গাণু এবং নির্জীব বস্তুকে ধারণ করে এবং কোশের বিভিন্ন বিপাকক্রিয়ার প্রধান স্থান রূপে ব্যবহৃত হয়।

মাইটোকন্ড্রিয়া

সংজ্ঞা: 

• সজীব ইউক্যারিওটিক কোশের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে থাকা দ্বিএকক পর্দাবেষ্টিত গোলাকার, ডিম্বাকার বা সূত্রাকার যে সমস্ত অঙ্গাণুতে কোশের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়, তাদের মাইটোকন্ড্রিয়া বলে।

আবিষ্কার: 

• ১৮৯৭ সালে বেন্ডা কোশের শষণ নিয়ন্ত্রণ অঙ্গাণুকে মাইটোকনড্রিয়া নামকরণ করেন।

উৎপত্তি: 

• মাইটোকন্ড্রিয়া প্রধানত কোশপর্দা এবং নিউক্লীয় পর্দা থেকে উৎপন্ন হয়। মাইটোকন্ড্রিয়া থেকেও মাইটোকন্ড্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

অবস্থান: 

• আদি কোশ এবং স্তন্যপায়ীদের পরিণত লোহিত রক্তকণিকায় মাইটোকন্ড্রিয়া থাকে না। আদর্শ উদ্ভিদ কোশ এবং প্রাণী কোশের সাইটোপ্লাজমে মাইটোকন্ড্রিয়া অিবস্থান করে।

কাজ: 

• মাইটোকন্ড্রিয়ার মধ্যে কোশের শক্তি উৎপন্ন হয়; এই কারণে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোশের শক্তিঘর বলা হয়। মাইটোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজগুলি হল-
• সবাত শ্বসন: মাইটোকন্ড্রিয়া সবাত শ্বসনে ক্রেবস চক্রের বিক্রিয়াগুলি ঘটতে সাহায্য করে।
• শক্তিঘর: অক্সিডেটিভ ফসফোরাইলেশনের মাধ্যমে ATP উৎপাদন করে যা সমস্ত প্রকার জীবজ ক্রিয়ার জন্য শক্তি জোগায়।
• ফ্যাট বিপাক: ফ্যাটি অ্যাসিড সংশ্লেষ এবং ফ্যাটি অ্যাসিডের -জারণ সংঘটিত হয়।
• অ্যামাইনো অ্যাসিড সংশ্লেষ: ক্রেবস চক্রের অন্তর্বর্তী যৌগ থেকে গ্লুটামিক অ্যাসিড, অ্যাসপারটিক অ্যাসিড সংশ্লেষ ঘটে।
• অন্তর্বর্তী যৌগ সংশ্লেষ: সাইটোক্রোম, ক্লোরোফিল, ফেরিডক্সিন, হিমোগ্লোবিন, স্টেরয়েড, অ্যালকালয়েড প্রভৃতি যৌগ সংশ্লেষের জন্য অন্তর্বর্তী যৌগ ক্রেবস চক্র থেকে পাওয়া যায়।
• শীতঘুম প্রাণীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তাপ উৎপাদনে সাহায্য করে।