কোশপ্রাচীর
সংজ্ঞা: উদ্ভিদকোশের কোশপর্দার বাইরে যে সেলুলোজ নির্মিত জড় পদার্থের যে একটি পুরু, দৃঢ়, ভেদ্য ও স্থিতিস্থাপক আবরণ থাকে, তাকে কোশপ্রাচীর বলে।
table of content (toc)
উৎপত্তি: গলগি বডি ও এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম কোশপ্রাচীর গঠনে সাহায্য করে।
কাজ:
- কোশের প্রোটোপ্লাজম এবং প্লাজমাপদকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে।
- ভেদ্য কোশপ্রাচীর পাশাপাশি দুটি কোশের মধ্যে জল ও খনিজ পদার্থ আদান-প্রদানে সাহায্য করে।
- কোশপ্রাচীরের প্লাজমোডেসমাটা পার্শ্ববর্তী কোশের মধ্যে সংযোগস্থাপন করে।
- কোশপ্রাচীরে উপস্থিত কিউটিন ও সুবেরিন জাতীয় পদার্থ বাষ্পমোচনের হার কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
- কোশপ্রাচীর উদ্ভিদদেহে রোগজীবাণুর অনুপ্রবেশে বাধাদান করে।
- কোশপ্রাচীর কোশকে যান্ত্রিকশক্তি প্রদান করে।
- কোশের নির্দিষ্ট আকৃতি প্রদানে অংশগ্রহণ করে।
কোশপর্দা
সংজ্ঞা: প্রতিটি সজীব কোশের প্রোটোপ্লাজম বাইরের থেকে যে অতি সূক্ষ্ম স্থিতিস্থাপক, প্রভেদক ভেদ্য, লাইপো-প্রোটিননির্মিত ত্রিস্তরীয় সজীব আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে, তাকে কোশপর্দা বলে।
আবিষ্কার: ন্যাগেলি এবং ক্র্যামার এটি প্রথম পর্যবেক্ষণ করেন এবং প্লোয়ি কোশপর্দার নামকরণ করেন।
উৎপত্তি: সাইটোপ্লাজমের বাইরের স্তর পরিবর্তিত ও রূপান্তরিত হয়ে কোশপর্দা গঠিত হয়।
উপস্থিতি: সমস্ত জৈবিক পর্দা আলোক অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দৃশ্যমান নয়। ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে কোশপর্দাকে ত্রিস্তরীয় দেখায়। এর বাইরের এবং ভিতরের দিকে থাকে ইলেকট্রন ডেনস স্তর বা কালো স্তর এবং মাঝখানে থাকে ইলেকট্রন স্বচ্ছ স্তর।
কাজ:
- কোশ-মধ্যস্থ সজীব অংশকে রক্ষা করে।
- কোশের আকৃতি প্রদান করে।
- হরমোন গ্রাহক হিসেবে কাজ করে।
- রাসায়নিক উত্তেজক হিসেবে কাজ করে।
- সজীব কোশের বহিঃ ও অন্তঃমাধ্যমের একটি অভিস্রবণীয় প্রতিবন্ধকরূপে কাজ করে।
- কয়েক প্রকার কোশ-অঙ্গাণু (যেমন- মাইটোকন্ড্রিয়া, গলগি বস্তু, এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকিউলাম) এবং নিউক্লীয় পর্দা সৃষ্টি করে।
- কোশস্তর ব্যাপন ও অভিস্রবণে সাহায্য করে।
- পিনোসাইটোসিস এবং ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে তরল ও কঠিন খাদ্য গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করে।
- অনেকক্ষেত্রে কোশপর্দায় অ্যান্টিজেন ধর্ম বর্তমান।