Square ad

সেন্ট্রোজোম ও সেন্ট্রিওল এর সংজ্ঞা, আবিষ্কার, উৎপত্তি, অবস্থান ও কাজ।


 table of content (toc)

সেন্ট্রোজোম

সংজ্ঞা: 

  • প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থিত তারকার মতো যে কোশ অঙ্গাণু প্রাণীকোশ বিভাজনের সময় বেম তত্ত্ব। গঠন করে, তাকে সেন্ট্রোজোম বলে।

আবিষ্কার: 

  • ১৮৮৭ সালে ফান বেন্ডেন প্রথম সেন্ট্রোজোম আবিষ্কার করেন।

গঠন: 

  • সেন্ট্রোজোম চারটি অংশ নিয়ে গঠিত, যথা-
  • সেন্ট্রিওল: সেন্ট্রোজোমের কেন্দ্রে অবস্থিত ৯টি এয়ী অণুনালিকা নিয়ে গঠিত দু-মুখ খোলা পিপের মতো যে দুটি অংশ পরম্পর সমকোণে অবস্থান করে, তাদের সেন্ট্রিওল বলে।
  • কাইনোপ্লাজম: সেন্ট্রোজোমের কেন্দ্রের সাইটোপ্লাজমীয় অংশ।
  • সেন্ট্রোস্ফিয়ার: সেন্ট্রোজোমের বাইরের দিকে অবস্থিত সাইটোপ্লাজম।
  • অ্যাস্ট্রল রশ্মি: সেন্ট্রিফিয়ার থেকে বিচ্ছুরিত রশ্মিবৎ অণুনালিকাসমূহ।

কাজ: 

  • সেন্ট্রোজোমের প্রধান কাজ প্রাণীকোশে বিভাজনের সময় বেম তন্ত্র গঠন করা।


সেন্ট্রিওল

সংজ্ঞা: 

  • প্রাণীকোশের নিউক্লিয়াসের কাছে দু-মুখ খোলা পিপের মতো ৯টি ত্রয়ী অণুনালিকা দিয়ে গঠিত দণ্ডাকার যে অঙ্গাণু দুটি পাশাপাশি সমকোণে অবস্থান করে এবং কোশ বিভাজনের সময় বেম তত্ত্ব গঠনে সাহায্য করে, তাদের সেন্ট্রিওল বলে।

আবিষ্কার: 

  • ১৮৮৮ সালে বোভেরি প্রথম সেন্ট্রিওল আবিষ্কার করেন।

উৎপত্তি: 

  • সেন্ট্রিওল আদি সেন্ট্রিওল থেকে উৎপন্ন হয়।

বিস্তৃতি: 

  • অ্যামিবা ও কয়েকটি প্রাণীকোশ ছাড়া সেন্ট্রিওল সব প্রাণীকোশের সাইটোপ্লাজমে নিউক্লিয়াসের কাছে অবস্থান করে। নিম্নশ্রেণির উদ্ভিদকোশ, যেমন- কিছু ছত্রাক, সিলিয়া বা ফ্ল্যাজেলা যুক্ত শৈবাল ক্ল‍্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স, ব্রায়োফাইটা ও টেরিডোফাইটা ইত্যাদির কোশেও সেন্ট্রিওল পরিলক্ষিত হয়। স্তন্যপায়ী শ্রেণির প্রাণীর লোহিত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকায় সেন্ট্রিওল থাকে না, স্নায়ুকোশ সেন্ট্রিওল নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে।

সংখ্যা: 

  • কোশে সেন্ট্রোজোম একটি থাকে, কিন্তু সেন্ট্রোজোমের মধ্যে দুটি সেন্ট্রিওল থাকে। দুটি সেন্ট্রিওলকে একত্রে ডিপ্লোজোম বলে। 
  • কোশ বিভাজনের সময় সেন্ট্রোজোম বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য সেন্ট্রোজোম গঠন করে এবং প্রতিটি সেন্ট্রোজোমে পুণরায় দুটি করে সেন্ট্রিওল অবস্থান করে। 
  • সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার বেসাল বডি উৎপত্তির সময় সেন্ট্রোজোমের বিভাজন পরিলক্ষিত হয়।

আকার ও আয়তন: 

  • সেন্ট্রিওল দেখতে অনেকটা পিপের মতো অর্থাৎ পিপে আকৃতিবিশিষ্ট এরা দৈর্ঘ্য্যে সাধারণত 0.3-0.8 µm এবং ব্যাসে 0.15-0.25µm পর্যন্ত হয়।

কাজ: 

  • প্রাণীকোশ বিভাজনকালে বেম তন্ত্র গঠন করে।
  • কোশ বিভাজনের শেষের দিকে ক্রোমোজোমের প্রান্তীয় গমনে সাহায্য করে।
  • সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলাযুক্ত কোশে সিলিয়া ও ফ্ল্যাজেলার সৃষ্টি করে।
  • শুক্রাণুর পুচ্ছ গঠনে সাহায্য করে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Below Post Ad