শ্বসনের প্রকারভেদ গুলি হল:
(a) সবাত শ্বসন:
- যে শ্বসন পদ্ধতিতে বায়ুজীবী জীবকোষে শ্বসন বস্তু (গ্লুকোজ) মুক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণরূপে জারিত হয়ে জল এবং কার্বন ডাই-অক্সাইডে পরিণত হয় এবং শ্বসন বস্তু মধ্যস্থ শক্তি সম্পূর্ণরূপে নির্গত হয়, তাকে সবাত শ্বসন বলে।
সবাত শ্বসনের স্থান:
- এককোষী প্রাণী অ্যামিবা থেকে শুরু করে উন্নত শ্রেণির বহুকোষী উদ্ভিদ এবং প্রাণীদেহের প্রতিটি সজীব কোষে এই রকম শ্বসন সংঘটিত হয়।
(b) অবাত শ্বসন :
- যে শ্বসন পদ্ধতিতে অবায়ুজীবী জীব কোষে মুক্ত অক্সিজেনের অনুপস্থিতিতে শ্বসনবস্তু (গ্লুকোজ) অক্সিজেনযুক্ত যৌগের অক্সিজেন কর্তৃক জারিত হয়ে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও জলে পরিণত হয় এবং শ্বসনবস্তু মধ্যস্থ শক্তির আংশিক নির্গমন ঘটে তাকে অবাত শ্বসন বলে।
অবাত শ্বসনের স্থান:
- অবাত শ্বসন ডিনাইট্রিফাইং ব্যাকটিরিয়া, মিথেন ব্যাকটেরিয়া, সালফার ব্যাকটিরিয়াতে সম্পন্ন হয়।
শ্বসনের শ্বাস রঞ্জক
- হিমোগ্লোবিন- লৌহঘটিত শ্বাস রঞ্জক। মেরুদণ্ডী প্রাণীদের লোহিত রক্ত কণিকায় এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্তরসে থাকে।
- হিমোসায়ানিন- তাম্রঘটিত শ্বাস রঞ্জক। কবচী এবং কম্বোজ শ্রেণির প্রাণীদের রক্তরসে থাকে।
- হিমোএরিথ্রিন- লৌহঘটিত শ্বাস রঞ্জক। পলিকিট ও কয়েকরকমের কৃমির রক্তকণিকায় থাকে।
- ক্লোরোক্রুওনিন- লৌহঘটিত শ্বাস রঞ্জক। পলিকিট প্রাণীর রক্তরসে থাকে।
বিভিন্ন প্রাণীর শ্বাসযন্ত্রের নাম
প্রাণীর নাম | শ্বাসযন্ত্রের নাম |
---|---|
অ্যামিবা, স্পঞ্জ, হাইড্রা | দেহতল |
কেঁচো, জোঁক | দেহত্বক বা চামড়া |
পতঙ্গ-আরশোলা, প্রজাপতি, ফড়িং ইত্যাদি। | ট্র্যাকিয়া বা শ্বাসনালি এবং 10 জোড়া শ্বাসছিদ্র। |
মাকড়সা, কাঁকড়াবিছে | বুক লাঙ বা বই-ফুসফুস |
শামুক, ঝিনুক। | ফুলকা, পালমোনারি স্যাক |
চিংড়ি, রাজ কাঁকড়া | বুকগিল বা বই-ফুলকা |
মাছ | ফুলকা |
কই, মাগুর, শিঙি | ফুলকা, অতিরিক্ত শ্বাসযন্ত্র |
ব্যাঙাচি | বহিঃফুলকা |
ব্যাঙ (উভচর) | ফুসফুস, চামড়া, মুখবিবর-গলবিলের মিউকাস পর্দা |
সরীসৃপ, পক্ষী, স্তন্যপায়ী | ফুসফুস |
মানুষ | ফুসফুস |