Dear Students,
আজকের অলোচ্য বিষয় চোখের ত্রুটি বা রোগ যেমন - দূরবদ্ধ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া, নিকটবদ্ধ দৃষ্টি বা মায়োপিয়া, একনেত্র দৃষ্টি, দ্বিনেত্র দৃষ্টি, বর্ণান্ধ, রাতকানা, পুঞ্জাক্ষি, ছানি বা ক্যাটারাক্ট, গ্লুকোমা ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। এখানে সেই সব দিক গুলি তুলে ধরা হয়েছে যেগুলি প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং যে কোন Competitive Exams -এ এখান থেকে প্রশ্ন আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
বিভিন্ন Government Exams -এর প্রস্তুতির জন্য আমাদের এই সাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। সম্পুর্ন বিনামূল্যে Competitive Exams -এর প্রস্তুতি দেওয়া হয় এবং দৈনিক আপডেট পাওয়ার জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেল যুক্ত হোন। (alert-success)
দূরবদ্ধ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া (Hyper metropia)
- যে দৃষ্টিতে নিকটের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু দূরের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে দূরবদ্ধ দৃষ্টি বা হাইপারমেট্রোপিয়া বলে।
- চক্ষুগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হওয়ায় বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পশ্চাতে পড়ে, ফলে কাছের বস্তু দেখা যায় না।
- উত্তল লেন্স (convex lens) যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই রোগ সারে।
নিকটবদ্ধ দৃষ্টি বা মায়োপিয়া (Myopia)
- যে দৃষ্টিতে দূরের দৃষ্টি ব্যাহত হয়, কিন্তু নিকটের দৃষ্টি ঠিক থাকে তাকে নিকটবদ্ধ দৃষ্টি বা মায়োপিয়া বলে।
- চক্ষুগোলকের ব্যাস স্বাভাবিকের তুলনায় বর্ধিত হওয়ার ফলে বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে পড়ে, ফলে দূরের বস্তু দেখা যায় না।
- অবতল লেন্স (concave lens) যুক্ত চশমা ব্যবহার করলে এই রোগ সারে।
একনেত্র দৃষ্টি (Monocular vision)
- যখন একসঙ্গে দুটি চোখ দিয়ে আলাদা বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা যায়, তখন সেই রকম দৃষ্টিকে একনেত্র বৃষ্টি বলে।
- এই রকম দৃষ্টিতে বস্তুর সঠিক আকার ও অবস্থান নির্ণয় করা যায় না।
- উদাহরণ ব্যাঙ, গরু, ঘোড়া ইত্যাদি। শিকারি পাখি ছাড়া অন্যান্য পাখিদেরও এরূপ দৃষ্টি।
দ্বিনেত্র দৃষ্টি (Binocular vision)
- যখন একসঙ্গে দুটি চোখ দিয়ে একই বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা যায় তখন তাকে দ্বিনেত্র দৃষ্টি বলে।
- এরূপ দৃষ্টির সাহায্যে বস্তুর সঠিক আকার এবং অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
- উদাহরণ: মানুষ, বানর, বাঘ, বাজপাখি, পেঁচা ইত্যাদি।
বর্ণান্ধ (Colour blind)
- যে সব ব্যক্তি রং দেখতে পায় না, বিশেষ করে লাল-সবুজ এবং হলুদ-নীল- এরকম ব্যক্তিদের বর্ণান্ধ বলে।
- সাধারণত রেটিনায় কোণ কোষের সংখ্যা কম থাকলে বা কোণ কোষ মধ্যস্থ রঞ্জক পদার্থ না থাকলে এই রোগ দেখা যায়।
রাতকানা (Night blindness)
- যে সব ব্যক্তি রাত্রে দেখতে পায় না তাদের রাতকানা বলে। রেটিনায় রড কোষের সংখ্যা কম থাকলে এই রোগ হয়।
- প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভিটামিন-'A' রড কোষের একটি বিশেষ উপাদান।
পুঞ্জাক্ষি (Compound eyes)
- বেশিরভাগ প্রাণীরই চোখ সরলাক্ষি কিন্তু সন্ধিপদ পর্বের অন্তর্গত প্রাণীদের (মাকড়সা ছাড়া) এক-একটি চোখ অনেকগুলি সরলাক্ষি নিয়ে গঠিত, এরকম চোখকে পুঞ্জাক্ষি বলে।
ছানি বা ক্যাটারাক্ট (Cataract)
- বৃদ্ধ বয়সে লেন্স-এর ওপর বিশেষ এক পর্দার আবির্ভাব হওয়ায় লেন্স ঘোলাটে হয়ে যায়। একে ছানি বা ক্যাটারাক্ট বলে।
- অস্ত্রোপচার করে বিশেষ লেন্স ব্যবহারে দৃষ্টি শক্তি আবার ফিরে আসে।
গ্লুকোমা (Glucoma)
- অক্ষিগোলকের জলীয় পদার্থ নির্গত হতে না পারলে চোখের ভিতরে চাপ সৃষ্টি হয়, ফলে যে রোগ সৃষ্টি হয় তাকে গ্লুকোমা বলে।
- এই প্রকার রোগে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।
আরও জানুন ☞(alert-passed)